মোনালিসার ৭টি অজানা তথ্য

994
7 Unknown Facts about Mona Lisa/The News বাংলা
মোনালিসার ৭টি অজানা তথ্য/The News বাংলা

মোনালিসা নাম জুড়েই যেন এক মোহময় হাসি। সে হাসি সাধারণ হাসি নয়, সে যেন এক রহস্যময় ভূবন জোড়ানো হাসি। মূলত মনকাড়া এ হাসির জন্যই কয়েক শতাব্দী ধরে সারা দুনিয়ায় আলোচনার বিষয় ‘মোনালিসা’৷ বহু শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সঙ্গীতশিল্পী এবং লেখককে অনুপ্রেরণা জোগায় এই শিল্পকর্ম৷ মোনালিসার ৫০০ বছরের ইতিহাস এখনও মানুষকে আবিষ্ট করে৷ সেই ভূবন জোড়ানো হাসির মালিক মোনালিসার সম্পর্কে জেনে নিন আশ্চর্য ৭টি তথ্য।

১. ১৬ শতকের শুরুতে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি যার ছবি আঁকেন তাকে নিয়ে নানান ধরনের জল্পনা-কল্পনা আজও আছে। অনেকে বলেন, নারী ও পুরুষ- উভয়েই ওই ছবির মডেল হয়েছিলেন৷ তবে আরও ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ব্যাখ্যা মতে, মোনালিসা আসলে ফ্লোরেনটাইনের এক রেশম ব্যবসায়ীর স্ত্রী লিসা দেল জিওকোন্ডো।

আরও পড়ুনঃ প্রেমিকাকে নিজের করে পেতে কি কি করতে হয় পুরুষকে

২. ১৫১৯ সালে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মৃত্যুর পর ফরাসি রাজাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছবিটি রাখা হয়৷ ফরাসি বিপ্লবের পর নেপোলিয়ন বোনাপার্টের শোবার ঘরে জায়গা হয় মোনালিসার৷ ১৮১৫ সালে জনসাধারণের দেখার জন্য এই চিত্রকর্ম রাখা হয় প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামে৷

৩. মোনালিসার জুড়ি সম্পর্কেও আছে নানান মতামত। যমজ মোনালিসার ছবির দেখা মেলে মাদ্রিদের মিউজিয়াম ডেল প্রাডোতে৷ ২০১২ সালে জানা যায় যে এই ছবিটি মূল ছবির সময়েই আঁকা হয়েছিল৷ দুটি ছবি একই ইতালীয় ব্যাকগ্রাউন্ড ও ল্যাণ্ডস্কেপে করা৷ দ্বিতীয় ছবিটি সম্ভবত ভিঞ্চির এক ছাত্র ফ্রান্সিসকো মেলজির আঁকা৷

আরও পড়ুনঃ জন্মতিথিতে ঠাকুর রামকৃষ্ণের জীবনের ৮টি অলৌকিক ঘটনা

৪. হারিয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ‘মোনালিসা’ কিন্তু সেই অর্থে বিখ্যাত কোনো শিল্পকর্ম ছিল না। নিজের দেশে ফেরত নিয়ে যাবার আশায় এক ইতালীয় ১৯১১ সালে প্যারিসের ল্যুভর থেকে ছবিটি চুরি করে। ওই ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রায় দুই বছর ছবিটির কোনো হদিস ছিল না। তারপর ছবিটি আবারও ল্যুভরে ফিরে আসে।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে নারীদের স্তন ক্যানসার, ভয়াবহ এই রোগের প্রধান ৮টি লক্ষণ

৫. মোনালিসাকে নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করে থাকেন, যার সবই কিন্তু ইতিবাচক নয়। ১৯৫৬ সালে এই ছবির ওপর ভাঙচুরের দুটি ঘটনা ঘটে। একজন তো ছবিটির ওপর অ্যাসিড ছুঁড়ে মারে। ফলে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় চিত্রকর্মটি। এরপর এক বলিভিয়ান পর্যটক এর ওপর পাথর ছোঁড়ে। তারপর থেকে, মোনালিসাকে বুলেটপ্রুফ কাঁচের ভেতরে সুরক্ষিত রাখা হয়।

আরও পড়ুনঃ টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে কেবল অপারেটররা

৬. রহস্যের পেছনে ‘স্ফুম্যাটো`র প্রভাব: অগণিত বিজ্ঞানী ও ইতিহাসবিদ এই শিল্পকর্মের বিশ্লেষণ করেছেন। পেয়েছেন বিস্ময়কর সব তথ্য। ২০০৮ সালে, মোনালিসার হেঁয়ালিপূর্ণ হাসির রহস্য ভেদ করা হয়। ছবি আঁকার একটি কৌশলের নাম ‘স্ফুম্যাটো’৷ ভিঞ্চি ঝাপসা এক ধরণের এফেক্ট তৈরি করতে রংয়ের পাতলা অনেকগুলো স্তর তৈরি করতেন। এর ফলেই ছবিতে সৃষ্টি হতো এক ধরনের রহস্যময়তা।

৭. এই ছবির আছে এক দীর্ঘ ইতিহাস। শিল্পের ইতিহাসে ‘মোনালিসা’ কেবল প্রশংসাই লাভ করেনি, বরং অগণিত শিল্পীকে বৈচিত্রপূর্ণ কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছে৷ বিংশ শতাব্দীর এই মিডিয়া আইকনকে সাহিত্য, সঙ্গীত, বিজ্ঞাপন সবকিছুতেই পাওয়া যায়৷ বব ডিলান একবার বলেছিলেন, মোনালিসার অবশ্যই হাইওয়ে ব্লুজ আছে৷ ওর হাসি দেখেই তা বলে দেয়া যায়৷

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন