মিউজিক ওয়ার্ল্ডের পর এবার বন্ধ হচ্ছে সিম্ফনি

426
মিউজিক ওয়ার্ল্ডের পর এবার বন্ধ হচ্ছে সিম্ফনি/The News বাংলা
মিউজিক ওয়ার্ল্ডের পর এবার বন্ধ হচ্ছে সিম্ফনি/The News বাংলা

উঠে গেছে কলকাতার গর্ব মিউজিক ওয়ার্ল্ড। এবার ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে আর এক গর্ব সিম্ফনি। সিম্ফোনির গানের দখল নিচ্ছে বাসনের শব্দ। গানের কেনাবেচা বন্ধ হয়ে অচিরেই গড়ে উঠবে বাসন বেচার ব্যবসা।

কলকাতায় মিউজিক ওয়ার্ল্ড উঠে গেছে বেশ কয়েক বছর আগে। ১৮ জি পার্ক স্ট্রীটের সেই দোকান, যা ছিল সঙ্গীতপ্রেমীদের স্বর্গ, তা বন্ধ হয়েছে ৫ বছর আগে। ইন্টারনেটে নিখরচায় গান, সুর, ভিডিও ডাউনলোডের জেরে ক্রমাগত লোকসানের বোঝা বহন করছিল মিউজিক ওয়ার্ল্ড। তাই, ২০১৩ সালের জুন মাসের শুরুতেই বন্ধ হয়ে যায় ১৯৯৭ সালে তৈরি হওয়া ‘সুরের বিশ্ব’।

আরও পড়ুনঃ ভাটপাড়া কি হতে চলেছে বাংলার প্রথম বিজেপি পরিচালিত পুরসভা

তখন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীরা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেন, কি ভাবে মিউজিক ওয়ার্ল্ড বন্ধ হয়ে যাওয়াটা তাদের শিল্পী মন আঘাত পেয়েছে। তারপর তারা ভরসা রেখেছিলেন শহরের অন্যান্য সিডি, ভিসিডি এবং ডিভিডির দোকানগুলোর উপর। মিউজিক ওয়ার্ল্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, শহরে মাত্র হাতে গোনা কিছু সিডির দোকান বেঁচে ছিল। এই দোকানগুলোর মধ্যে, সিম্ফনি একটি অন্যতম দোকান। তবে, পাইরেসি আর ডাউনলোডের যুগে এই দোকানগুলোও লোকসানের মুখ দেখছে।

আরও পড়ুনঃ অর্জুনের হাত ধরে বারাকপুর লোকসভা ছিনিয়ে নিতে পারে বিজেপি

ভারতে আমাজনে এক বছরে ১০০০টাকা দিলে আমাজন প্রাইম এর সদস্য হওয়া যায়। অন্যান্য সুবিধার সাথে আমাজন এর বিশাল বাংলা, ইংরাজী, হিন্দি গান নিজের মোবাইলে বাজানো বা ডাউনলোড করা যায়। আলাদা করে কেনার কোন দরকারই নেই। এর সাথে যোগ হয়েছে গানা, উইঙ্ক, জিও-সাওন ইত্যাদি মিউজিক আপস। এতে শ্রোতাদের প্রায় বিনামূল্যে গান শোনার সুবিধা। অন্যদিকে সিডি-র দোকানগুলো উঠে যাওয়ার যোগার।

মিউজিক ডিজিটাইজেশনের ফলে শ্রোতারা এখন গান, মিউজিক ও ভিডিও ইন্টারনেট থেকেই ডাউনলোড করে। তাই, এই ধরনের ব্যাবসায়িক মডেলে স্থায়িত্ব নেই বললেই চলে। এর ফলে, এই ব্যবসা থেকে বেড়িয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যাবসায়িকরা।

এবার ধর্মতলার বিখ্যাত সিডি ও ডিভিডির দোকান Symphony ধীরে ধীরে বাসনের দোকানে পরিবর্তিত হচ্ছে। এম বিশ্বাস অ্যান্ড সিম্ফনির ১৮৩/২ লেনিন সরণি এবং ৪এ জওহরলাল নেহেরু রোডের দুই দোকানই উঠে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। সিডি ছাড়াও এখানে নানা রকমের সঙ্গীতের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিও পাওয়া যেত। তবে Symphony কর্তৃপক্ষ ব্যবসার ক্ষতির কথা বললেও, ব্যবসা বন্ধের কথা স্বীকার করেননি।

দোকানগুলো এইভাবে বন্ধ হয়ে গেলে শিল্পীদের এরপর নির্ভর করতে হবে অনলাইন আর অনুষ্ঠানের উপর। সিডি বিক্রি হয়ত বন্ধই হয়ে যাবে। এই বিষয়ে অবশ্য ব্যবসায়িকরা অভিযোগ করে বলেন। “সংগীতের প্রচার বেড়েছে কিন্তু রোজগার নয়”।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন