ফের কলকাতার স্কুলে ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের অভিযোগ

634
Image: The News বাংলা

কলকাতা: ফের স্কুলে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। ফের কলকাতার স্কুলে এক ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। ফের অভিযুক্ত এক স্কুল শিক্ষক। মঙ্গলবার, দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার একটি স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্কুল। অভিভাবকদের বিক্ষোভে লাঠি চালায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় লাঠি চালানোর অভিযোগ। পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে ব্যপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এক মহিলার মাথা ফাটার অভিযোগ। অভিযুক্ত শিক্ষককে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।

ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী স্কুল মঙ্গলবার সকাল থেকেই এক ছাত্রীর যৌন নিগ্রহের অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে। স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ স্কুলে ঢুকতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিভাবক-পুলিশ ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়ে যায় গোটা স্কুল জুড়ে।

অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্ত করে দেখা হবে শুনেও বিক্ষোভ থামান নি অভিভাবকরা। তারপরেই নির্বিচারে লাঠি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। লেক থানার পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে লাঠি চালানোর অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। এক অভিভাবিকার মাথা ফেটে যায় পুলিশের লাঠির আঘাতে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। তিনজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

অভিভাবকদের বিরুদ্ধে পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ পুলিশকর্তাদের। স্কুলের আশেপাশের বাড়ি থেকেও ইঁট ছোড়ার অভিযোগ পুলিশের। এখনও উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। আপাততঃ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখেছে গোটা এলাকা।

এর আগেও কলকাতার ৩-৪ টি স্কুলে যৌন নিগ্রহের প্রতিবাদে অবিভাবক বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। তবে, পুলিশ-এর এইভাবে লাঠি চালানোর ঘটনা এই প্রথম। সবচেয়ে সমস্যায় পরে পড়ুয়ারা। অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরে তারা স্কুলের ভেতরেই আটকে পরে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, অভিযুক্ত শিক্ষকের পাশাপাশি ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা অভিভাবক কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লেক ও গড়িয়াহাট, দুটি থানার ওসি এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এখনও বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে রয়েছে স্কুলটিকে। ছাত্রী স্বাভাবিক হলে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে। কি কারনে এই ঘটনা ঘটল তা দেখতে স্কুলে যান পুলিশের বড় কর্তারা। অভিযুক্ত শিক্ষককে জেরা করছে পুলিশ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন