বিধানসভায় টিকিট না পেয়ে; নিজের অফিসেই আগুন দিলেন তৃণমূল নেতা। টিকিট না পেয়ে দিশেহারা আরাবুল ইসলাম; নিজের পার্টি অফিসেই ভাঙচুর করে আগুন লাগালেন। একুশের বিধানসভা ভোটের প্রার্থী তালিকায়; তাঁর নাম নেই। এই খবর পেয়েই, নিজের ক্ষোভ অভিমান লিখে; ফেসবুকে পোস্ট করেন ভাঙড়ের দাপুটে নেতা আরাবুল। বিধানসভা নির্বাচনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙড় বিধানসভা আসনে; প্রার্থী ঘোষণা করেন মহম্মদ রেজাউল করিমকে। তারপরেই ক্ষেপে ওঠেন; আরাবুল ইসলাম। সংবাদ মাধ্যমের সামনেই, প্রকাশ্যেই কান্নায়; ভেঙে পড়লেন ভাঙড়ের নেতা। আরাবুলের অনুগামীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে; পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
এদিন প্রার্থী তালিকায় ভাঙড় আসন থেকে তাঁর নাম নেই; দেখার পরই ফেসবুকে আরাবুল ইসলাম ফেসবুকে লেখেন; “দলের আজকে আমার প্রয়োজন ফুরালো”। এরপরই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে খোলাখুলি তিনি বলেন; “হাজারে হাজারে মানুষ খবর পেয়ে; এখানে আমার বাড়িতে চলে এসেছে। ভাঙড়ের মানুষদের নিয়েই; আমি আরাবুল ইসলাম। আজকে বুথ থেকে উঠে আসা মানুষ; তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েছে। আজকে শুধু একটা কথা বলতে চাই যে; এই দলটাকে বুকে আঁকড়ে ভাঙড়ের সাধারণ মানুষের পাশে থেকে লড়াই করেছি। ভাঙড়ের মানুষ আজকে যেটা বলবে; আমি সেইটাই করব”।
আরও পড়ুনঃ “দলে আজকে আমার প্রয়োজন ফুরালো”, মমতার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই তৃণমূল নেতার হতাশা
আরাবুল ইসলামের এই হতাশার পিছনে; অবশ্য অনেক কারণ আছে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে, এই রাজ্যেও বিজেপি হাওয়ার মধ্যেও; যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে, তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকে জিতিয়ে আনার পিছনে; তাঁর অনেক বড় ভূমিকা ছিল। সেই যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি বিধানসভা কেন্দ্রে; তাঁকে প্রার্থী করা হবে, এমনটাই আশা করেছিলেন তিনি। সেটা হয় নি, বা স্বীকৃতি দিলেন না দলনেত্রী মমতা।
ভাঙর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে; সিপিএম থেকে ২০২০ তে যোগ দেওয়া রেজাউল করিম-কে। আর তাতেই নিজের হতাশা; জাহির করেছেন আরাবুল ইসলাম। দলের লড়াই করা নেতাকে বাদ দিয়ে; সিপিএম থেকে আসা নেতাকে প্রার্থী করায় হতাশ গোটা ভাঙর তৃণমূল। তবে আরাবুল বিরোধীরা বলছেন; “দিদির সিদ্ধান্তই ফাইনাল। আমরা মেনে নিয়ে; তৃণমূলের হয়ে প্রচার করব”। তবে তাতে তৃণমূলের ক্ষোভ কমছে না।