পাহাড়ে যাবার আগে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে; দিল্লি ডেকে পাঠালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নভেম্বরে, দার্জিলিং যাচ্ছেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে; রাজ্যপাল-অমিত শাহ বৈঠক। বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লি যাচ্ছেন; রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে; রাজ্যপালের বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই; দার্জিলিং যাবেন রাজ্যপাল। পুরো নভেম্বর মাস দার্জিলিং থাকবেন রাজ্যপাল। নভেম্বর জুড়ে উত্তরবঙ্গে একাধিক কর্মসূচি রাজ্যপালের। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যেতে পারেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে এমনটাই খবর।
বাংলায় রাজ্যপাল-রাজ্য সংঘাত; লেগেই রয়েছে। কখনও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করেছেন; কখনও আবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে; ‘অতিসক্রিয়তা’র নালিশও করেছে রাজ্য সরকার। রাজনৈতিকভাবেও ধনখড়ের মোকাবিলা করেছে তৃণমূল। রাজ্যপালকে আরএসএস-বিজেপির লোক বলে; কটাক্ষ করেছেন নেতানেত্রীরা। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলার রাজ্যপালের সঙ্গে; অমিত শাহের বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ বিনয় তামাং বনাম বিমল গুরুং, ভোটের আগেই অ’শান্তির আ’শঙ্কা পাহাড়ে, কার দিকে মমতা
গোটা নভেম্বর মাসটাই পাহাড়ে থাকার; সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। এনডিএ ছেড়ে বিমল গুরুং, তৃণমূলকে সমর্থন দেওয়ায়; দার্জিলিং এর রাজনৈতিক সমীকরণ ‘ঘেঁটে ঘ’। ঠিক তখনই রাজ্যপালের পাহাড় সফরের ঠিক আগে; শাহ-ধনখড় বৈঠক তাই আলাদা মাত্রা পাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, এক মাস পাহাড়ে রাজ্যপাল; শুধুই কি ছুটি কাটাবেন? নাকি শাহের নির্দেশ নিয়েই; পাহাড়ে উঠবেন? আর সেখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করবেন? উঠে গেছে প্রশ্ন।
পুজোর আগেই; রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। তবে তাঁর জায়গায় এসেছিলেন; বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নভেম্বরে রাজ্যে আসতে পারেন; অমিত শাহ। বসবেন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে। তবে তার আগেই, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে কি নির্দেশ দেন; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সেটাই এখন দেখার।