বাসভাড়া ঠিক করবে বাস মালিকরা; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পরেই; সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ দাবি তুলেছেন; “তাহলে এবার কৃষিপণ্যের দাম ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হোক কৃষকদেরই। অনেকেই জানিয়েছেন, “বাস মালিকরা যদি নিজেদের বাসের ভাড়া; নিজেরাই ঠিক করার দায়িত্ব পান; তাহলে কৃষি পণ্য যারা তৈরি করেন; সেই পণ্যের দাম ঠিক করার দায়িত্ব, তাদেরই দেওয়া হোক। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
বাসভাড়া ঠিক করবে বাস মালিকরা, আজব সিদ্ধান্ত মমতার
লকডাউনে বাসে মাত্র ২০ জন যাত্রী নিয়ে; বাস চলার ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তাই বাস মালিকদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে; বাসের ভাড়া ঠিক করার। সাধারণ মানুষ ঠিক এখানেই প্রশ্ন করছেন। বাস মালিকদের ক্ষতি হলে; ভাড়া ঠিক করার ক্ষমতা তাঁদের দেওয়া হলে; কৃষি পণ্যের দাম ঠিক করার অধিকার; কেন কৃষকদের হাতে দেওয়া হবে না। কৃষক ও চাষিরাও তো তাঁদের পণ্যের ন্যায্য দাম পান না।
রাজ্যের রাস্তায় নামছে বাস, ভাড়া শুনে মানুষের মাথায় হাত
সারা বছর খাটার পরেও; কিন্তু কৃষকের মুখ থাকে মলিন। তৃপ্তি থাকে না কৃষকের মনে। একদিকে উৎপাদন খরচ বেশি; অন্যদিকে বিক্রির বেলায় দাম কম। উৎপাদক কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য ফসলের; ন্যায্যমূল্য পান না। তাদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত বা সহজ করে দেওয়ার জন্য; কোন ব্যবস্থা বা পদক্ষেপই ফলপ্রসূ হচ্ছে না। মাঝে মধ্যস্বত্বভোগী বা দালাল ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের পোয়াবারো। সেদিকে প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষের কোনো খেয়াল নেই।
স্বভাব যাবে কোথায়, করোনা উড়িয়ে বাসে ভিড়
প্রতি বছরই সার, বীজ, কৃষিপণ্য; কৃষকরা যাতে সঠিক সময়ে এবং ন্যায্যমূল্যে পান; সে বিষয়ে সরকারের তৎপরতা দেখা যায়। কিন্তু নতুন ধান উঠলেই; দাম পাওয়া নিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় কৃষক। সরকার পদক্ষেপ নিতে নিতে; কৃষকের ধান বিক্রি শেষ হয়ে যায়। এতে করে প্রান্তিক কৃষকের ঘরে; সুফল যায় না। সঠিক দাম পান না। মধ্যস্বত্বভোগীরাই বা মাঝের দালাল-রাই; সরকারের সব উদ্যোগের ফসল ঘরে তোলে। বাংলায় যাদের বলে ফোড়ে। আর তাই এবার কৃষকদের ক্ষমতা দেওয়া হোক; নিজেদের ফসলের দাম ঠিক করার; দাবি সাধারণ মানুষের।