ফিল্মের অভাবে বন্ধ হচ্ছে বাংলার সব সিনেমা হল

532

বাংলাদেশি সিনেমার দর্শক নেই। বিদেশি তথা ভারতীয় সিনেমার মুক্তি আটকে রাখা হচ্ছে বাংলাদেশে। সেই কারনে, ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব সিনেমা হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার ঘোষণা করলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।

আরও পড়ুনঃআমির খানের জন্মদিনে জেনে নিন তাঁর ব্যপারে কিছু অজানা তথ্য

বুধবার সকালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘সিনেমা হল বাঁচলেই চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচবে’ শীর্ষক সাংবাদিক সম্মেলন করে সমিতির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, মিয়াঁ আল্লাউদ্দিন, সভাপতি ইফতেকার নওশাদ সহ অনেকেই।

সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘সরকারের সুদৃষ্টি ও আমাদের দাবিগুলো না মানা হলে ১ মাস পর, আগামী ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেওয়া হবে’।

আরও পড়ুনঃ বলিউডে নতুন যুগের তারকারা কত পারিশ্রমিক পান

সিনেমা হল চালানোর মত দেশে পর্যাপ্ত চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে না বলে জানা যায় সমিতির পক্ষ থেকে। যাও হচ্ছে তাতে দর্শক মোটেই আকর্ষিত হচ্ছে না। লোকসান গুণতে গুণতে হতাশ প্রযোজকেরা। হলের আয় নিয়ে সন্তুষ্ট নন প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরাও।

দেশের বাইরের ছবি প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশকে মানতে হয় কঠোর নিয়ম। বিদেশী, বিশেষত ভারতীয় সিনেমা দেখাতে গেলে তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয় নানাবিধ শর্ত আর নিয়মকানুন। এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না। লোকসান গুণতে গুণতে পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে বলেই দাবি করেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা।

আরও পড়ুনঃ যৌনতা কেন্দ্রিক বিনোদনের জন্য বিশ্বের সেরা ২০ টি ঠিকানা

সাংবাদিক বৈঠকে এই দিন নওশাদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “সিনেমা হলে লোক টানার মত চলচ্চিত্র বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে না। বাছাই করা ভাল মানের ভারতীয় বাংলা ছবির মুক্তি নানা কৌশলে আটকে রাখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনতে গুনতে হল মালিকেরা আর পেরে উঠছেন না। তাই, এপ্রিলের ১২ তারিখ সব হল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকছে না”।

আরও পড়ুনঃ বলিউডের যে নায়িকাদের জীবনসঙ্গী ডিভোর্সি পুরুষ

এর আগে, গত বছর ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ একটি আদেশ দেন, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, পূজা ও পয়লা বৈশাখের সময় যৌথ প্রযোজনার ছবি ছাড়া বাইরের দেশের কোনো ছবি দেশে আমদানি, প্রদর্শন ও বিতরণ করা যাবে না।

আরও পড়ুনঃ ‘বাঘের সঙ্গে অভিনয় করাটাই ছিল জীবনের সেরা চ্যালেঞ্জ’

এদিকে ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি ও প্রদর্শনের প্রতিবাদে কয়েক বছর আগে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলন করেছিল চলচ্চিত্র পরিবার। আগামী ১২ এপ্রিল থেকে সিনেমা হল বন্ধ করা হলে, দেশে হিন্দি ছবি আমদানি করা হলে আবারও আন্দোলনে নামবে চলচ্চিত্র পরিবার।

আরও পড়ুনঃ বয়সে এক যুগের ফারাকে বিয়ের পিঁড়িতে মালাইকা অর্জুন

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এ কথা জানায়ে। তিনি বলেন,”আগেও সিনেমা হল বন্ধের হুমকি পেয়েছি আমরা। যদি দেশীয় সংস্কৃতি বাদ দিয়ে, বঙ্গবন্ধুর আইনকে পাস কাটিয়ে হিন্দি ছবি এনে দেশকে ধ্বংস করতে চায়; আমরা পুরো চলচ্চিত্র পরিবার ও শিল্পীদের পক্ষ থেকে আবারও প্রতিবাদ জানাবো”।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন