প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা বেশি, দাবি মমতার

525
প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা বেশি, দাবি মমতার/The News বাংলা
প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা বেশি, দাবি মমতার/The News বাংলা

প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা অনেক বেশি। অন্য কেউ নয়। এই দাবী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর। মোদীর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতা তাঁর, পূর্ব মেদিনীপুরে দাবি মমতার আর এই দাবী নিয়েই বিরোধী থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোর তর্ক বিতর্ক।

বাংলায় সূর্যের উত্তাপের সঙ্গে রাজনৈতিক তাপ উত্তাপ ক্রমবর্ধমান। তর্ক বিতর্ক থেকে রাজনৈতিক বাকবিতণ্ডার বিরাম নেই। মাঝে মাঝেই কম বেশি সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই কখনও বেফাঁস, বিতর্কিত আবার অযৌক্তিক মন্তব্য করে বসছেন। ঠিক তেমনই আজ পূর্ব মেদিনীপুরে একটি নির্বাচনী সভায় বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ মমতার তোষণ নীতির জন্য বাংলায় আসছে ভয়ঙ্কর ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাপে নেউলে সম্পর্ক কারও অজানা নয়। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া বাক্যবাণে প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্ধ করতেও ছাড়েননি তিনি। রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলে বসেন, প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা অনেক বেশি।

পূর্ব মেদিনীপুরের হেড়িয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রধান, আর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রধান। স্বাধীনতার আগে রাজ্যের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী বলা হত বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী অর্থ, বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব দেখেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে অর্থ থেকে কৃষি সব বিভাগেই নজর রাখতে হয়।

আরও পড়ুনঃ সোমবার বাংলার ৮ টি আসনে ভোট, দেখে নিন একনজরে ৮ কেন্দ্রে ভোটের কিছু তথ্য

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। কার ক্ষমতা বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গেছে মমতার এই বক্তব্য ও মন্তব্য। তৈরি হয়ে গেছে মিমস। সেখানেও রসিকতা। কার ক্ষমতা বেশি।

কার ক্ষমতা বেশি? ভোটের মধ্যেই এই বিতর্কে হাস্যরসে মজেছেন আপামর বাঙালি। পাড়ায় চায়ের দোকান থেকে ট্রেন বাসে জোর চর্চা। মুখ্যমন্ত্রী বনাম প্রধানমন্ত্রী। এতদিন বাংলার পুলিশ বনাম সিবিআই, কখনও বা বাংলার পুলিশ বনাম কেন্দ্রীয় পুলিশ লড়াই দেখেছে বাংলা।

আরও পড়ুনঃ বউয়ের খোঁজ রাখেন না, দেশের মানুষের খোঁজ কি করে রাখবেন, মোদীকে খোঁটা মমতার

কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমারের বাড়ি তল্লাশি ইস্যুতে সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ লড়াই দেখেছে বাংলা। সেখানে কলকাতা পুলিশ এর হয়ে সিবিআই এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

আর রবিবার নিজেই প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও নিজেকে বেশি ক্ষমতাবান ঘোষণা করে এই যুদ্ধে আরও ইন্ধন যোগালেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আপাতত ভোটের শেষ পর্যন্ত এই মুখ্যমন্ত্রী বনাম প্রধানমন্ত্রী লড়াই চলবে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন