মমতার মন্ত্রীর রাস্তা অবরোধে; আটকে গেল করোনা ভ্যাকসিনের গাড়ি। দেশের নানা জায়গায় প্রায়ই গ্রিন করিডর তৈরি করে; অসুস্থ বা মৃত্যুপথযাত্রী মূমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে; জরুরি ভিত্তিতে বিমানে বা অ্যাম্বুলেন্সে হার্ট বা অঙ্গপ্রতঙ্গ পৌঁছে দেওয়ার ঘটনার কথা আমরা দেখেছি। কিন্তু আজ যা ঘটল তা নিঃসন্দেহে লজ্জা ও নিন্দার। রাজ্যের মন্ত্রীর রাস্তা অবরোধে; আটকে পড়ল করোনা ভ্যাকসিনের গাড়ি। করোনা গাড়ির আটকে পড়ার ঘটনা; নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক। পরে, ওই গাড়ি ঘুরপথে নিয়ে যাওয়া হয়; পুলিশ পাহারায়। রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী; জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের নেতা। তাঁরই ডাকে এদিন অবরোধ হয় জাতীয় সড়ক।
কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক ভ্যাকসিন; গতকালই রাজ্যে চলে এসেছে। এবার রাজ্যের জেলায় জেলায়, সেগুলি সরবরাহ করার প্রক্রিয়া; শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে, বুধবার সেই প্রক্রিয়া বাধা পেল; অবরোধের কর্মসূচির জেরে। রাজ্য়ের মন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের পরিচিত মুখ; সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির দলের লোকজনের অবরোধের জেরে; ভ্যাকসিন নির্বিঘ্নে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া জোর ধাক্কা খেল।
আরও পড়ুনঃ “যাঁরা বাবাকে সরালেন, তাঁরাই তিনমাসের মধ্যে সরে যাবেন”, বি’স্ফোরক শুভেন্দু
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে; গলসির গলিগ্রামে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়কে; বেশ কিছুক্ষণ আটকে রইল করোনা ভ্যাকসিনের গাড়ি। ঘুরপথে নিয়ে গিয়ে বের করতে হল পুলিশকে। ইতিমধ্যেই এর নিন্দা শুরু হয়েছে; রাজ্য জুড়ে। বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ট্যুইট করেছেন; এই করোনা ভ্যাকসিনের গাড়ি আটকে পরা নিয়ে।

পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে; পূর্ব বর্ধমানের গলসীতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।এজন্য অনেকক্ষণ রাস্তা অবরোধ হয়ে ছিল। সাধারণ লোকজন এই জাতীয় সড়ক অবরোধের; তীব্র বিরোধিতা করেছেন। মন্ত্রীকে লাঠি হাতে লোকজনকে; মারতেও দেখা গিয়েছে। সিদ্দিকুল্লাকে গ্রেফতারের দাবি জানান; বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন; “মানুষ যার অপেক্ষায়, তাকে আটকে দিচ্ছে কী বলব! মমতাকে অনুরোধ, মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দিন ওঁকে”।
যদিও বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত বলে, সিদ্দিকুল্লার সাফাই; “ভ্যাকসিন আসার খবর; আগে থাকতে জানানো হয়নি। অ্যাম্বুল্যান্স, রোগীর গাড়ি সবই ছেড়েছি। পিছন দিকে একশো দুশো গাড়ির পিছনে; করোনা ভ্যাকসিনের গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। আমরা কি করতে পারি”।