২০২১ এর ২১ শে জুলাই, ধর্মতলায় আর লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। এবার কত লোক হয়েছিল মমতার ২১ শে জুলাইয়ের সভায়? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরছে গোটা বাংলায়। তৃণমূল, বিজেপি তো বটেই; এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কলকাতা পুলিশও। মমতা ও তাঁর পাশাপাশি তৃণমূল নেতারা বলেছেন; “অনেক লোক হয়েছে”। বিজেপি নেতারা বলছেন; মমতার ফ্লপ শো। লোক অনেক কমেছে। পুলিশের হিসাব জানা যায়নি। তবে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন; বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মমতার শহিদ দিবস নিয়ে এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন; “১৯ এ হাফ, ২১ শে সাফ”। এদিনের মমতার ২১ শে জুলাইয়ের সভা নিয়ে দিলীপবাবু বলেন; “২০২১ এর ২১ শে জুলাই, ধর্মতলায় আর লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না”। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের তরফ থেকে এই নিয়ে বলা হয়েছে; “দিবাস্বপ্ন দেখছেন দিলীপ ঘোষ; ওনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে”।
আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা আন্দোলনের বাঙালি বিপ্লবীকে, সম্মান দিল মোদী সরকার
“যতদিন উনি জিতছিলেন; ততদিন কোন অভিযোগ করেন নি; মেশিনে ভোট হওয়া নিয়ে। আর যখনই হারতে শুরু করলেন; তখনই বলছেন মেশিনে নয় ব্যালট চাই। আসলে উনি নাটক করছেন। বাংলার মানুষ আর এই নাটকে ভুলবে না””। পরিষ্কার জানিয়ে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেই সঙ্গে বলেন; “২০২১ এর ২১ শে জুলাই; ধর্মতলায় আর লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ তখন সরকারে থাকবে বিজেপি; আর মমতার তৃণমূলের কোন অস্তিত্ব থাকবে না বাংলায়”।
তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ দিবসকে; ফ্লপ শো বলে আখ্যা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ২১শে জুলাইয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কম লোক এসেছিল; এবারে শহিদ দিবসে। তৃণমূলের আসল চেহারাটা আজকে বেরিয়ে গেছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, “এদিনের শহিদ দিবসের জমায়েত যদি তৃণমূল না করতে পারে, আগে জানালে আমরা লোক দিয়ে সহযোগিতা করতাম”।
দিলীপবাবু কটাক্ষ করে বলেন; “মমতা বানার্জীকেও নির্দিষ্ট সময়ের আগে বক্তৃতা শুরু করতে হচ্ছে। মাইকে ঘোষণা করতে হচ্ছে; চিড়িয়াখানা দুপুর আড়াইটার পর খুলবে। তৃণমূল তার ব্যার্থতার দায় বিজেপি-র উপরে চাপাতে চাইছে; এবারে লোক হবে না আগে থেকে জানতে পেরে; তাই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে তৃণমূল”।