পর্যটকদের জন্য খুলছে বাংলার বন জঙ্গল; জ্বর নিয়ে গেলে টাকা ফেরত না দিয়েই বুকিং বাতিল। পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য সুখবর; নিয়ে এল রাজ্য বন দফতর। রাজ্যে পর্যটকদের জন্য, অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত বনাঞ্চল; বটানিক্যাল গার্ডেন, ইকো ট্যুরিজম পার্ক; খোলা হচ্ছে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে। ২ অক্টোবর, গান্ধী জয়ন্তী থেকে; খুলে যাচ্ছে চিড়িয়াখানাও। কিন্তু এই আনলক পর্বে, যাতে করোনা সংক্রমণ না বাড়ে; তা নিশ্চিত করতে এ বার কোভিড গাইডলাইন প্রকাশ করল বন দপ্তর।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করল মোদী সরকার, পশ্চিমবঙ্গে একধাক্কায় কমল দাম
করোনা পরিস্থিতিতে, এ বার দারুণ আর্থিক ক্ষতির মুখে; পাহাড় ও ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পুজোর মুখে জঙ্গল খুললে; পর্যটকদের আনাগোনায় সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দেওয়া যাবে; বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু জঙ্গল না খোলায়; তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। জঙ্গল খোলার দাবিতে ২১ সেপ্টেম্বর; উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে এখন জঙ্গল খুলে দেওয়ায়; সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি তাঁরাও।
বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন; “সব ক্ষেত্রেই তো আনলক পর্ব চলছে। বন-জঙ্গলে বেড়ানোই; বন্ধ থাকবে কেন। তবে কোভিড বিধি কঠোর ভাবে মানতে হবে। ১৫ দিন দেখব; তারপর ভাবব আরও কোনও ছাড় দেওয়া যায় কি না”। রাজ্যের গাইডলাইনে এটা স্পষ্ট, জঙ্গল পর্যটনের ক্ষেত্রে; কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না বন দপ্তর। বুকিং পদ্ধতিও এখন থেকে; পুরোপুরি অনলাইনে। তবে, জ্বর নিয়ে বেড়াতে গেলে; টাকা ফেরত না দিয়েই বুকিং বাতিল করা হবে।
আরও পড়ুনঃ ভোটের কথা মাথায় রেখে, ডিসেম্বরেই রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেবার ঘোষণা তৃণমূলের
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের আকর্ষণ; হাতি সাফারি আপাতত পর্যটকদের নাগালের বাইরে; রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাশ টানা হয়েছে; জিপসি সাফারিতেও। ৬ জনের পরিবর্তে জিপসি সাফারিতে; সওয়ার হতে পারবেন চার জন। ফলে মাথাপিছু ভাড়া বাড়বে। জঙ্গলে প্রবেশ করার জন্য; প্রত্যেকটি গাড়িকে বাধ্যতামূলক স্যানিটাইজ করতে হবে। তার জন্য পর্যটকদের; গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা। তবুও জঙ্গল খোলার সিদ্ধান্তে; স্বস্তি ফিরল পর্যটন মহলে।
প্রতিবছর বর্ষার মরসুমে, ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর; এই তিনমাস রাজ্যের বনাঞ্চল পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকে। এই সময় বন্য জন্তুদের; প্রজননের সময়। তাছাড়া বর্ষার এই সময়ে; প্রচুর চারাগাছ জন্মায়। সেই কারণে এই তিন মাস, পর্যটকদের জন্য জঙ্গলে প্রবেশ; পুরোপুরি বন্ধ থাকে। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে; সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু অতিমারির কারণে; ব্যতিক্রম ঘটেছে এই বছর। ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খোলেনি; রাজ্য বন দফতর। ১৬ তারিখ জঙ্গল না খোলায়; উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে, আপাতত খুশির শ্বাস নিয়েছেন; পর্যটক থেকে ব্যবসায়ী সবাই।