পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রমে গান্ধীজিকে ভিলেন বানাল স্কুল। তিনি জাতির জনক। সেই গান্ধীজিকেই এবার ভুল ভাবে পরিবেশন করল; একটি স্কুল। মধ্যপ্রদেশে এমনই একটি ঘটনায়; তাজ্জব হয়ে যাওয়ার জোগাড়। সরকারি স্কুলে দশম শ্রেণীর পাঠক্রম। সেখানেই পড়ুয়াদের মডিউলে গলদ ধরা পড়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি মডিউলে এমন ত্রুটিতে কাঠগড়ায় স্কুল। সেখানেই গান্ধীজিকে ভিলেন হিসেবে; দেখানো হয়েছে। নেতিবাচকভাবে গান্ধীজির চরিত্রের ব্যাখা করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় দায় এড়াতে; ছাপার ভুল বলে নিজেদের দোষ লুকোতে চেয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পাঠ্যক্রমের টেস্ট পেপারের পট অফ গোল্ড অংশের প্রশ্ন উত্তরে; দুই বন্ধুর কথা বলা হয়েছে। সুবুদ্ধি আর কুবুদ্ধি। এই দুজনের চরিত্রের গুণাবলী সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে যা ব্যাখা রয়েছে;সেটা অনেকটা এরকম; কুবুদ্ধি ছিলেন একজন দুষ্ট লোক। তিনি মদ্যপান করতেন ও গান্ধীনীতি মেনে সেরকমই জীবনযাপন করছিলেন। মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে সরকারি পুস্তকের এই ভুলে ক্ষিপ্ত সাধারন মানুষ।
আরও পড়ুন: হায়দ্রাবাদে চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডিকে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গ্রেফতার মহম্মদ পাশা
সরকারি আধিকারিকদের দাবি সঠিক লাইনটি হবে; কুবুদ্ধি একজন দুষ্ট লোক ছিলেন। তিনি মদ্যপান এবং জুয়ায় জীবনযাপন করছিলেন। ভোপালের শাশকিয় নবীন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল কর্তৃপক্ষ; দায় নিতে চায়নি। ছাপার দোষ বলেই দায় এড়িয়ে গেছেন তারা।
ইংরেজির শিক্ষিকা নীলম ভাসানিয়া জানান; বিষয়টি পুরোপুরি ছাপার ভুল। পেপারটি যিনি তৈরি করেছেন তার ভুল নয়। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করে দেখে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন মধ্যপ্রদেশ সরকার।
আরও পড়ুন: এনআরএসে পাশে ছিল দেশের ডাক্তাররা, তেলেঙ্গানার সময় কেন নীরব
কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে এই ভুলের প্রতিবাদ করা হচ্ছে। ভোপালের মন্ত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা বারবার মহাত্মার খুনি নাথুরাম গডসেকে দেশ ভক্ত আখ্যা দিয়েছেন। বিরোধীদের দাবি; মধ্য প্রদেশের সরকারি স্কুলে; গান্ধীকে নিয়ে ওই ভুল শাসকশ্রেণীর পরিকল্পিত।