আপনার বাচ্চার মন বুঝতে, তার হাতের লেখা দেখান হস্তরেখাবিদকে

10007
আপনার বাচ্চার মন বুঝতে, তার হাতের লেখা দেখান হস্তরেখাবিদকে/The News বাংলা/প্রতিকী ছবি
আপনার বাচ্চার মন বুঝতে, তার হাতের লেখা দেখান হস্তরেখাবিদকে/The News বাংলা/প্রতিকী ছবি

“আরও আগে কৃত্তিকার হাতের লেখা পেলে; হয়ত তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হত”; এমনটাই দাবী করছেন হস্তরেখাবিদ বা গ্রাফোলজিস্টদের। রানিকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুলের; কৃত্তিকা পালের রহস্যজনক সুইসাইড নোট দেখে; এমনই মত প্রকাশ করেছেন গ্রাফোলজিস্টরা। নাম করা হস্তরেখাবিদ মোহন বসু বলেন; “আমরা যদি কৃত্তিকার হাতের লেখা আগেই পেতাম; তাহলে বলা সম্ভব হত; যে সে জীবনের প্রতি আশা হারাচ্ছে”।

গ্রাফলজিস্টরা হাতের লেখা পরীক্ষা করে বলে দিতে পারেন; সেই মানুষের মানসিক অবস্থার কথা। তাঁরা বলতে পারেন মানুষটির স্বভাব ও মানসিক গতিবিধি। কৃত্তিকার তিন পাতা সুইসাইড নোট পড়ে গ্রাফোলজিস্ট বা হস্তরেখাবিদ মোহন বসু জানান; “কৃত্তিকা মেধাবী হলেও খুব চাপা স্বভাবের। একাকিত্ব্য গ্রাস করেছিল ছোট্ট কৃত্তিকাকে”।

আগেও সুইসাইডের কথা ভাবে ওই ছাত্রী। সুইসাইডের চেষ্টাও করে সে; তা তার শেষ লেখা চিঠিতেই প্রমাণ। সুইসাইড করার সিদ্ধান্ত সে আগেই নিয়েছিল; তা হাতের লেখাতেই স্পষ্ট। জায়গা আগেই রেইকি করে এসেছিল সে। সুইসাইড নোটটিও আগে থেকে লেখা। ঠিক করেই ছিল সুইসাইড সে করবেই।

সুইসাইড নোটের প্রথম পাতায় কৃত্তিকা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় পাতা থেকেই; নিয়ন্ত্রণ হারায় সে। হাতের লেখার আকার আকৃতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে; সে আত্মহত্যা প্রবণ। গ্রাফলজিস্টদের একাংশ আক্ষেপ করে বলেছেন; “কৃত্তিকার হাতের লেখা আগে থেকে পেলে প্রাণে বাঁচান যেত তাকে”।

তাঁরা বলেন, “বর্তমানের জটিল সমাজ ব্যবস্থায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাচ্চারা। বাবা-মার সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে, পড়াশুনার চাপ; সবটাই সহ্য করে ওই শিশুমন। চাকুরিজীবি বাবা মা-রা পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারায়; একাকিত্বে ভোগেন বাচ্চারা”। সেখান থেকেই আসে নানারকম মানসিক সমস্যা। তাই শিশুমন বুঝতে তার হাতের লেখা; হস্তরেখাবিদ বা গ্রাফলজিস্টের দেখানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য বাচ্চাদের হোমওয়ার্কের খাতাই যথেষ্ট।

শুক্রবার রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী; কৃত্তিকা পালের রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয় চাঞ্চল্য। একটি ৩ পাতার সুইসাইড চিঠিও পাওয়া যায়; তার মৃতদেহের কাছ থেকে। সেই চিঠি ঘিরে; রহস্য আরও দানা বাঁধে। প্রাথমিকভাবে বাবা মায়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন ও পড়াশুনার চাপকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এই বিষয়ে কোন পর্যাপ্ত প্রমাণ; এখনও পাওয়া যায়নি ওই চিঠিতে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন