চিতায় পরে চিতাভস্ম, হাথরস কাণ্ডে হিন্দু রীতি অনুযায়ী; মৃতার শেষ কাজও করতে দিল না; হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী যোগী সরকার। হাথরস কানে নির্যাতিতাকে দাহ করার ৪৮ ঘণ্টা পরেও; সাংবাদিক থেকে বিরোধী নেতা নেত্রীদের; নির্যাতিতার পরিবারের ধারে কাছে ঘেঁসতে দিচ্ছে না উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ব্যারিকেড করে ঘিরে রেখেছে গোটা গ্রাম। এসবের মধ্যে, নিভে যাওয়া চিতায় পরে রয়েছে; নির্যাতিতার অস্থি। পরিবারের কাউকেই তা বিসর্জন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি; উত্তর প্রদেশ পুলিশ প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুনঃ কত বড় প্রভাবশালীর ছেলে, হাথরস কাণ্ডে কাদের আড়াল করতে চাইছে যোগী সরকার
নির্যাতিতার মৃত্যুর পর, তড়িঘড়ি তাঁর দেহ; পরিবারের অনুপস্থিতিতে পুড়িয়ে ফেলে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই; প্রবল চাপে যোগী প্রশাসন। হাথরসের উচ্চবর্ণের বাসিন্দারা, মহা পঞ্চায়েত ডেকে; গ্রেফতার হওয়া দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে। তাদের বক্তব্য, পুলিশ যখন বলছে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি; কাউকে আটক করে রাখাও চলবে না।
আরও পড়ুনঃ ৭ বছরেও শাস্তি হয় নি বাংলার কামদুনি কাণ্ডে, উত্তরপ্রদেশের হাথরসে প্রতিবাদ তৃণমূলের
এই ঘটনায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে, ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন; সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতির নেতা-নেত্রীরা। লোকচক্ষুর আড়ালে নির্যাতিতার মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার; ৪৮ ঘণ্টা কেটে যাবার পরেও; চিতায় পড়ে রয়েছে নির্যাতিতার অস্থি। পরিবারের কাউকে তা বিসর্জনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। চিতার পাশে পরে আছে; কেরোসিনের জার, হাতশুদ্ধির আধখালি বোতল।
হাথরসের ওই গ্রামকে; বিচ্ছিন্ন করে আদতে কী গোপন করতে চাইছে যোগী সরকার? কেন নির্যাতিতার পরিবারকে; বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে গোটা দেশ। কেন হিন্দু রীতি অনুযায়ী, মৃতার শেষ কাজও করতে দিল না; হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী যোগী আদিত্যনাথ সরকার। প্রশ্ন উঠছে দেশ জুড়ে।