বাম কংগ্রেসের ধর্ম নিরপেক্ষ জোট। আর সেখানে স্বাগত সবাই; এমনকি মুসলিম ধর্মগুরু ভাইজান আব্বাস সিদ্দিকিও। শুধু তৃণমূল আর বিজেপি ছাড়া। মানুষের ভোটে জেতা রাজ্যে তৃণমূল; আর কেন্দ্রে বিজেপি, এরাই শুধু ধর্ম নিরপেক্ষ নয়। সব দেখে, সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক মহল, সবাই বলছে; “আবার একটা ‘ঐতিহাসিক ভুল’। যোগী বিরোধীতা করা সিপিএমের; বড় ভরসা এখন ভাইজান আব্বাস”। ‘ধ’র্মীয়’ বিজেপি-কে রুখতে; ‘ধ’র্মনিরপেক্ষ’ আব্বাস আজ বড় ভরসা বামের। “হিতে বিপরীত হবে”। আব্বাসকে বুকে টানলে; যোগী কি দোষ করল? বলছে বাংলার অধিকাংশ আমজনতা।
ধ’র্মীয় বিজেপি ও তো’ষণকারী মমতাকে হারাতে; ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি; এখন বড় ভরসা বাংলার বামেদের। আব্বাসের ধর্মনিরপেক্ষ ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট ছাড়া; ভোটে লড়বে না সিপিএম; প্রায় এমনটাই এখন ঘটছে বাংলার রাজনীতিতে। এমনকি নন্দীগ্রামের পর; ভাঙড়ের আসনও আব্বাসকে ছাড়বে বামেরা; জোটের ‘স্বার্থে’ বেনজির ‘নমনীয়তা’ সিপিএমের। আব্বাসকে তোল্লাই দেবার ফল পাবে বামেরা; এমনটাই বলছেন বাংলার আমজনতার অনেকেই।
নন্দীগ্রাম, জামুরিয়ার পর ভাঙড়। আব্বাসের স্বার্থে, সিপিএম-এর ‘নমনীয়তা’; চমকে দেবার মতো। আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ-কে একের পর এক; বড় আসন ছেড়ে চলেছে বামেরা। শরিক-দেরও আব্বাসের স্বার্থে বা জোটের স্বার্থে; নিজেদের আসন ছাড়ার ডাক দিয়েছেন বাম চেয়ারম্যান বিমান বসু। এমনকি সিপিএম-কংগ্রেস জোট; ২৯৪ আসনের মধ্যে ২৩০ আসনে জোট রফা চূড়ান্ত হবার পরেও; আব্বাসের দিকে ঝুঁকেছে বামেরা। যেখানে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী পছন্দ করছেন না; আব্বাসের ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট-কে।
আরও পড়ুনঃ মসজিদে গিয়ে নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ ফিরহাদের বিরুদ্ধে
“মালদা মুর্শিদাবাদে কোন আসন ছাড়া হবে না আব্বাসকে”; পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন অধীর। কিন্তু বামেদের বিশেষ করে সিপিএমের; এত আব্বাস বা ভাইজান প্রীতি কেন? সাধারণ মানুষ ও বাংলার রাজনৈতিক মহলের মতে; ভোট বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতেই; মুসলিম ভোট টার্গেট বামেদের। তাই ভাইজানের হাত ধরে; এবার নির্বাচনে সম্মানজনক ফল করার চেষ্টা।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন; ফুরফুরা শরিফের পিরজাদার সব ভাষণ কি শুনেছেন, সিপিএম নেতারা? তারপরেও এতবড় ভুল কি করে করলেন? তৃণমূলের সম্মানজনক ডাক এলেই; ভাইজান যে বামেদের হাত ছাড়বেন; সেই নিয়েও নিঃসন্দেহ সবাই। বামেদের ভুল বামেরা কবে বুঝতে পারে; সেটাই এখন দেখার।