শুধুমাত্র একজন প্রোটোকল অফিসার। আর কেউ এল না; পাক প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। আমেরিকা সফরে গিয়ে কার্যত অপমানিত হলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামান্য গুরুত্বও দিলেন না পাক প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরকে। সাধারণত; কোনও রাষ্ট্রনেতা মার্কিন সফরে এলে; প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা ট্রাম্পের উচ্চপদস্থ সেক্রেটারিদের কেউ উপস্থিত থাকেন। কিন্তু ইমরান খানকে অভ্যর্থনা জানাতে আমেরিকার কোনও প্রশাসনিক আধিকারিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন না। ইমরানের ক্ষেত্রে যেটুকু না থাকলেই নয়; সেটুকুই করা হল।
সোমবার; আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হবার কথা পাক প্রধানমন্ত্রীর। বিগত কয়েক বছর ধরেই; পাকিস্তানের উন্নয়নে যে টাকা আমেরিকা দিয়ে আসছিল; সন্ত্রাসবাদের কারণে সেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। মুলত পাক সন্ত্রাসবাদের কারনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প।
আরও পড়ুনঃ ঋতুস্রাবকে ঘিরে অন্ধ কুসংস্কার, ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না জল
ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করতে; কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে আমেরিকা আসেন ইমরান খান। বিমানবন্দরে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ খুরেশি ছাড়া ইমরান খানকে স্বাগত জানাতে আমেরিকার কোন উচ্চ পদস্থ অফিসাররা ছিল না। তবে আমেরিকা প্রবাসী পাকিস্তানিদের উৎসাহ চোখে পড়ার মত ছিল।
ইমরান খানের সাথে আমেরিকার মাটিতে দেখা যাইনি কোন নিরাপত্তা কর্মী। যে কোন দেশের প্রধান আমেরিকা এলে তাঁকে সরকারের তরফ থেকে কড়া নিরাপত্তার ঘেরটোপে রাখা হয়। এদিন নিরাপত্তাকর্মীহীন ইমরান খানকে মেট্রো করে যাতায়াত করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ ভারতে আইনি হচ্ছে গাঁজার নেশা
সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-ইমরান বৈঠক হবার কথা। যদিও; পাকিস্তান বারবার দাবি করেছে যে; তারা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোন রকম আপোষ করছে না। কিন্তু পাকিস্তানের এই দাবি যে আমেরিকা মেনে নেয়নি সেটা ইমরানের সফর ঘিরেই স্পষ্ট করল ট্রাম্প। আমেরিকা সফরের কয়েকদিন আগেই ২৬/১১ মূল চক্রী হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান।
এই সফরে; আমেরিকার সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষেই; ইমরান খানের এই সফর। কিন্তু; শুরুতেই ট্রাম্প ইমরানকে বুঝিয়ে দিলেন; হোয়াইট হাউসে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে বড়সড় চাপের মুখে পড়তে চলেছে পাক প্রধানমন্ত্রী। হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করেও যে; ট্রাম্পের সুনজরে আসতে পারেনি ইমরান এটা পরিস্কার।