মুখ থুবড়ে পরেছে দেশের অর্থনীতি; দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও দেশের জিডিপি সংকোচন অব্যাহত। আরও খারাপ সময় আসছে। ইতিহাসে প্রথমবার আর্থিক মন্দার মুখে; পড়ল ভারতীয় অর্থনীতি। চলতি অর্থবর্ষে প্রথম ত্রৈমাসিকে; জিডিপির হার নেমে দাঁড়িয়েছিল; মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও, দেশের জিডিপি সংকোচন; অব্যাহত থাকল। পর পর দুবার কোনও দেশের জিডিপি সংকোচন হলে; আর্থিক মন্দা বলে ধরা হয়। সেই হিসাবে, মোদী সরকারের আমলে সরকারিভাবে; ভারতীয় অর্থনীতিতে প্রথমবার মন্দা! জিডিপি-র হার সঙ্কুচিত ৭.৫ শতাংশ। জুলাই-সেপ্টেম্বরে GDP-র সঙ্কোচন হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। “মোদীর আমলে সরকারিভাবে প্রথমবার; ভারতের অর্থনীতি মন্দার কবলে”; ট্যুইট কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর।
আরও পড়ুনঃ স্বয়ং মমতা কি চান, শুভেন্দু তৃণমূলে থাকুন, শুভেন্দুকে একযোগে অ’শা’লীন আ’ক্রমণ ফিরহাদ ও কল্যাণের
জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশের জিডিপি; ৭.৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। এর আগে প্রথম ত্রৈমাসিকেও; জিডিপি সংকোচন হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি সংকোচন কমবে; বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটল উল্টো। এই নিয়ে পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে; জিডিপি-র সঙ্কোচন হল। অর্থনীতিবিদদের মতে, পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে জিডিপি-র সঙ্কোচন হলে; তাকে টেকনিক্যাল রিসেশন বা আপাত মন্দা বলা যায়। সেই অর্থে, ভারতীয় অর্থনীতি মোদী সরকারের আমলে; প্রথমবার মন্দার কবলে পড়ল।
আরও পড়ুনঃ চিনকে শা’য়েস্তা করতে, লাদাখের প্যাংগং লেকে মেরিন কম্যান্ডো ‘মার্কোস’কে পাঠাল ভারতীয় নৌবাহিনী
জিডিপি সঙ্কোচন নিয়ে সরকারি তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরেই; প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপিকে নি’শানা করে; রাহুল গাঁধী ট্যুইট করেন; “প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমলে সরকারিভাবে; এই প্রথমবার ভারতের অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়ল”। অক্টোবরে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছিলেন; “করোনা ভাইরাসের জেরে; বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ফলে চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপিতে; বড়সড় ধাক্কা আসতেই পারে। তিনি বলেন, “প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি সংকোচন; আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। তবে জিডিপি বৃদ্ধি পেলে; ফের আগের অবস্থানে ফিরবে অর্থনীতি। আর এবার পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে; জিডিপি-র সঙ্কোচন হল। হাল ফেরাতে কি কি ব্যবস্থা নেয়, মোদী সরকার; সেটাই দেখার।