“ঠাকুমার সিদ্ধান্ত ছিল বড় ভুল”; জানিয়ে দিলেন নাতি। “ইন্দিরা গান্ধীর সিদ্ধান্ত ছিল বড় ভুল”; স্বীকার করে নিলেন রাহুল গান্ধী। “১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা; জারির সিদ্ধান্ত ইন্দিরা গান্ধীর ভুল ছিল”; একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বীকার করে নেন রাহুল গাঁধী। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরার, দেশে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নিয়ে; রাহুলের স্বীকারোক্তিতে নড়চড়ে বসেছে গোটা দেশ। “১০৭৫ সালে, দেশে জরুরি অবস্থা বা Emergency Situation জারি; মারাত্মক ভুল ছিল”! ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা শোনা গেল; প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মুখে। তবে, মোদী সরকারের সঙ্গে তুলনা টেনে; তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সেই সিদ্ধান্তের সাফাইয়ে; কিছু যুক্তিও দেন তিনি।
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল; দেশে জারি ছিল জরুরি অবস্থা। সেই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল; ইন্দিরা গাঁধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার। জরুরি অবস্থা জারির জন্য এখনও; সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় কংগ্রেসকে। অর্থনীতিবিদ এবং অধ্যাপক কৌশিক বসুর সঙ্গে; এক কথোপকথনের মাঝে সোনিয়া পুত্রের গলায়; শোনা গেল এই বি’স্ফোরক স্বীকারোক্তি। পাঁচ রাজ্যে ভোটের মুখে; অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে; এই কথা স্বীকার করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী।
আরও পড়ুনঃ বিধানসভা ভোট, বাংলায় মোদী-শাহের জনসভার সংখ্যা দেখে চোখ কপালে
সেখানে রাহুল স্বীকার করে নেন যে; “১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত; একেবারেই ভুল ছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭; ২১ মাসের জন্য ভারতে জারি ছিল জরুরি অবস্থা। সাংঘাতিকভাবে খর্ব হয়েছিল; দেশবাসীর মৌলিক অধিকার। রাহুলের দাবি, নিজের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে; পরে আফসোস করতেন ঠাকুমা ইন্দিরাও।
রাহুলের মতে; “জরুরি অবস্থা চলাকালীন; নাগরিক স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সাংবিধানিক অধিকারগুলি খর্ব হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমও ছিল নিয়ন্ত্রিত। বহু বিরোধীদের নেতাদের; জেল খাটতে হয়েছে মানলাম। কিন্তু, বর্তমানে দেশে যা চলছে; নীতিগতভাবে তার থেকে অনেক আলাদা ছিল ওই পরিস্থিতি”। মোদী সরকারকে আক্রমণ করে, রাহুল আরও বলেন; “সেই আমলে কোনওদিনই দেশের মৌলিক কাঠামো; পাল্টাবার চেষ্টা করেনি কংগ্রেস সরকার। জরুরি অবস্থা ঘোষণা না হলেও; এই সরকারের আমলে যা চলছে; তাতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ”।