মমতার নির্দেশে সিবিআই অফিসারদের আটক করে বাংলার আইপিএসরা বিপদে

1640
মমতার নির্দেশে সিবিআই অফিসারদের আটক করে বাংলার আইপিএসরা বিপদে
মমতার নির্দেশে সিবিআই অফিসারদের আটক করে বাংলার আইপিএসরা বিপদে/The News বাংলা

মমতার নির্দেশে সিবিআই অফিসারদের আটক করে বাংলার আইপিএসরা এবার বিপদে পরলেন। সিবিআই অফিসারদের গায়ে হাত তোলা আইপিএস-দের রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র। রাজ্যের কাছ থেকে এই সব আইপিএসদের রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কেন্দ্র। রাজীব কুমার, সুরজিৎ কর পুরকায়স্ত এর পাশাপাশি ৪ আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র।

সিবিআই অফিসাররা কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসার। আইপিএস-রাও সেই কেন্দ্রীয় সংস্থারই অফিসার। একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার কাজে কি করে বাধা দেয় আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা? প্রশ্ন তুলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। শুধু কাজে বাধা দেওয়াই নয়, রীতিমত গায়ে হাত তুলে জোর জবরদস্তি তাদের থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এখানেই বাংলার আইপিএসরা তাঁদের চাকরির কোড অফ কন্ডাক্ট ভেঙেছেন বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

আরও পড়ুনঃ তথ্যপ্রমাণ নষ্টের প্রমাণ পেলে পুলিশ কমিশনারকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের

সোমবারই রাজ্যের চীফ সেক্রেটারির কাছে চিঠি পাঠিয়ে এই কাজে লিপ্ত থাকা আইপিএস অফিসারদের সব রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র। রাজনাথ সিং এর স্বরাষ্ট্র দফতর বাংলার এই আইপিএস-দের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে মোদী সরকার। মনে করা হচ্ছে এই আইপিএস-দের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

সিবিআইয়ের তরফ থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে সোমবারই জানানো হয়েছে যে, রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে জেরা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে হেনস্থা হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আধিকারিকদের। যেটা সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির সমান। গায়ে হাত তুলে জোর জবরদস্তি তুলে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি এই রিপোর্ট জমা পরেছে কেন্দ্র স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছেও।

আরও পড়ুনঃ পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআইকে ঢুকতে বাধা কলকাতা পুলিশের

এমনকি কলকাতায় সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে রবিবার তাঁর দফতরেই বন্দি করে কলকাতা পুলিশের বাহিনী। যেটাও অবিশ্বাস্য একটা ব্যপার। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবের দফতর থেকে পুলিশি ঘেরাও মুক্ত করতে হয়। পুলিশের ঘেরাওয়ের হাত থেকে সিবিআইকে মুক্ত করতে, হস্তক্ষেপ চাওয়া হয় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।

আরও পড়ুনঃ বুদ্ধে সৌজন্য কিন্তু মোদী যোগীতে অনুমতি নেই, শত্রু পাল্টেছে মমতার

আর এখানেই পুরো বিষয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ কেন্দ্র স্বরাষ্ট্র দফতর। সিবিআই আধিকারিকদের হেনস্থা ও সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে তাঁর দফতরেই বন্দি করে রাখার এই সিদ্ধান্তে যে সব আইপিএস অফিসাররা জড়িত আছেন, তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই চাকরির কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙার দায়ে তদন্ত করবে মোদী সরকার। দিল্লি সূত্রে এমনটাই খবর। তবে এত কাণ্ডের পর রাজ্য সরকার কি এই বিষয়ে কেন্দ্রকে কোন সাহায্য করবে? সেটাও প্রশ্ন।

ফলে বলাই যায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদেশ মেনে এবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরাগভাজন হলেন বাংলার আইপিএস-রা। এঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার কি ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ডিজি ও পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে সিবিআই। খুব তাড়াতাড়ি বাংলায় পোস্টিং বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসার কেন্দ্রের শো-কজ নোটিস পেতে চলেছেন সেটা পরিষ্কার।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন