আর্টিক্যাল ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই; কাশ্মীরের উপর আলাদাই নজর রেখেছে পাকিস্তান। বিভিন্ন কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের পাশাপাশি চলছে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার বড়সড় ছক। সন্ত্রাসবাদীদের টার্গেট এবার জম্মু-কাশ্মীরে। ঈদের দিনে বা স্বাধীনতা দিবসের আগে; ভয়াবহ হামলা চালাতে জইশ-ই-মহম্মদের ৭ সদস্যের এক আত্মঘাতী দল; রাজ্যে ঢুকেছে বলে শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। ঈদের দিনে কড়া নজর রাখতে; জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
অমরনাথ যাত্রা স্থগিত হওয়ার পর; পাকিস্তানী জঙ্গি হামলার আঁচ পেয়েছিল ভারত। পাকিস্তান হামলা ভেস্তে যাওয়ার পর থেকেই; জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলা চালানোর ছক কষেছে জইশ। এরপর পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের ছাড়পত্র পাওয়ার পর; জঙ্গি গতিবিধি যেন আর এক মাত্রা পেয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দুর্গা পুজোতে ট্যাক্স মোদী সরকারের, মঙ্গলবার ধর্নায় বসছে মমতা
জইশ জঙ্গি সংগঠনের ৭ আত্মঘাতী সন্ত্রাসবাদীর একটি দল; কাঁটাতার পরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি চালানোর নির্দেশ দিয়ে; এই জঙ্গি দলকে ভারতে পাঠানো হয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
নিরাপত্তা আধিকারিকদের আশঙ্কা; এই সন্ত্রাসবাদী দল জম্মু-কাশ্মীরের যেকোন মসজিদকেই নিশানা করতে পারে। পাকিস্তানের চক্রান্ত অনুযায়ী; সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ইস্যু তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে আনতে চায়। সেক্ষেত্রে ভারতের ক্ষয়-ক্ষতি হলে পাকিস্তানের দল ভারি হবে বলে তাদের আশা।
আরও পড়ুনঃ তিন তালাক অপরাধ ঘোষণার পর, বড়ো দাদাকে বারানসী থেকে রাখি পাঠাল মুসলিম বোনেরা
দিল্লি হামলার বিষয়েও নথি পাওয়া গেছে। জইশ জঙ্গি হামলা চালানোর সন্দেহ আরও জোরদার হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের আগে। জইশ ছক রূপায়ণের জন্য; আফগানিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে ২-৪ জন জঙ্গির একটি দল; ইতিমধ্যে ভারতের রাজধানীতে ঘাঁটি গেড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
পরিস্থিতিতে কড়া নজরদারী রাখতে; কাশ্মীরে একাধিক মসজিদে এবং দিল্লি ও বানিজ্য নগরীতে মোতায়েন করা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঈদের শুভেচ্ছা সহ; নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে রেখেছেন গোটা দেশকে।