মহারাষ্ট্রে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন, সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শেষ পর্যন্ত এমনটাই ঘটল মহারাষ্ট্রে। বিজেপি আগেই সরকার গঠন করতে পারবে না; বলেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যপালকে। শিবসেনা কংগ্রেস ও এনসিপি-কে নিয়ে চেষ্টা করলেও; হালে পানি পায় নি। এবার মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শরদ পাওয়ারের এনসিপি-কে; সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। শেষ পর্যন্ত ১৯ দিন ডামাডোলের শেষে; মহারাষ্ট্রে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন।
যেহেতু কোনও দলের কাছেই রাজ্যে সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার নেই; তাই অচলাবস্থা কাটাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি; কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে বৈঠকে বসে মোদীর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও। এর জন্য ব্রাজিল যাত্রা পিছিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুনঃ ‘বুলবুল’ যেতে না যেতেই আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নাকরি’
মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি নিয়ে ভোটের জোটসঙ্গী শিবসেনার সঙ্গে; বিজেপির সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছোয়। হাল ছেড়ে দেয় গেরুয়া শিবির। এরপরই কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গে সরকার গড়ার পথে পা বাড়ান উদ্ধব ঠাকরেরা। সোমবার সন্ধে পর্যন্ত মহারাষ্ট্রবাসী একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যান যে; সে রাজ্যে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে এবার শিবসেনা-এনসিপি সরকার গড়ছে।
কিন্তু; শিবসেনা-এনসিপি সরকারকে সমর্থনের বিষয়টি ঝুলেই রেখেছে কংগ্রেস। ফলে রাজ্যপালের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পেরে; আরও সময় চান শিবসেনার আদিত্য ঠাকরেরা। কিন্তু; শিবসেনাকে বাড়তি সময় না দিয়ে; এনসিপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যপাল।
মঙ্গলবার বিকেল ৫ঃ৩০ নাগাদ; মহারাষ্ট্রে জারি হয়ে যায় রাষ্ট্রপতি শাসন। তাতে সই করে স্বীকৃতি দেন; রামনাথ কোবিন্দ। এই নিয়ে কংগ্রেস আগামী কাল সুপ্রিম কোর্টে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন -এর কড়া নিন্দা করেছেন; সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি শাসনের। সেই আবেদনের উপরেই স্বীকৃতি লাগালেন রামনাথ কোবিন্দ।
রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে; তা গত ১ লা নভেম্বরই পরিষ্কার জানিয়ে দেন বিজেপির মন্ত্রী। ৯ই নভেম্বরের মধ্যে নতুন সরকার না গড়ে উঠলে; মহারাষ্ট্র রাষ্ট্রপতির শাসনের দিকে যেতে পারে; পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান অর্থমন্ত্রী এবং রাজ্যের প্রবীণ বিজেপি নেতা সুধীর মুনগন্তিওয়াড়।