ভিক্টোরিয়ায় জয় শ্রী রাম ধ্বনি; নিমন্ত্রণ করে ডেকে এনে, ‘বেইজ্জত করা হয়েছে’; নিজের ভাষণ বয়কট করে মোদীকে বললেন মমতা। সরকারি অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি; তাও আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের বক্তৃতার ঠিক আগেই। প্রতিবাদ করে ভাষণই দিলেন না; মুখ্যমন্ত্রী মমতা। প্রতিবাদ করে বললেন; “এটা তো সরকারি অনুষ্ঠান; কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ; কলকাতায় এই অনুষ্ঠান করার জন্য। কিন্তু এভাবে আমন্ত্রণ করে এনে; কাউকে অপমান করা উচিত নয়। প্রতিবাদ হিসেবে; আমি কোনও বক্তব্য রাখব না”। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে এদিন নেতাজীর জন্মদিন উপলক্ষে; প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই ছিলেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রফুল্ল প্যাটেল।
এদিন প্রথমেই নেতাজীর মিউজিয়াম; ঘুরে দেখেন মোদী। তখনও সঙ্গেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। তাল কাটে ভিক্টোরিয়ায় ভাষণের সময়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে; প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতেই; বক্তব্য রাখতে গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠতেই; দর্শকাসন থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে। তখনই মেজাজ হারান মমতা। কোনও ভাষণ না দিয়েই মমতা বলেন; “এ ভাবে ডেকে অপমান করার; কোনও মানে হয় না। এটা সরকারি অনুষ্ঠান; একটা ডিগনিটি থাকা উচিত।
আরও পড়ুনঃ দেশের চারটি রাজধানী ও চারটি সংসদের দাবি তুললেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা
এরপর শুধুমাত্র ‘জয় হিন্দ-জয় বাংলা’ বলেই; নিজের বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা নিয়েই ভোটের বাজারে; শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে; “সরকারি অনুষ্ঠানে ও নেতাজীর জন্মদিনে; জয় শ্রী রাম বলে, কারা এই রাজ্যে বহিরাগত তা প্রমাণ করল বিজেপি”। অন্যদিকে বিজেপির দাবি; “জয় শ্রী রাম বলে মমতাকে কোন অপমান করা হয় নি”।
এদিন দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দর এসে; হেলিকপ্টারে রেস কোর্সে নামেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে যান; নেতাজীর বাসভবনে। এরপর যান ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে যান। সেখানে উদ্বোধন করেন ‘নির্ভীক সুভাষ’ নামে; একটি গ্যালারির। পাশাপাশি, অন্যান্য বিপ্লবীদের নিয়ে; ‘বিপ্লবী ভারত’ নামে আরও একটি গ্যালারিরও উদ্বোধন করেন।