রক্ষকই ভক্ষক, পুলিশকর্মীদের হাতেই গণধর্ষিত মা ও মেয়ে

412
Image source: Google image

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘বেটি বাঁচাও’, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান যেন দিন দিন গলার কাঁটা হয়ে উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের। ফের প্রকাশ্যে এল নারকীয় গণধর্ষণের ঘটনা। এবার হরিয়ানার কইথলে।

হরিয়ানায় নারকীয় নির্যাতনের শিকার হল মা ও মেয়ে। বাড়িতে ঢুকে ১৮ জন মিলে গণধর্ষণ করল মা ও মেয়েকে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৭ জনই আবার পুলিশকর্মী। ঘটনা এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ, এই জঘন্য ঘটনা বসে বসে দেখেছে গ্রামের মোড়লরা। জঘন্য, ঘৃণ্য এই ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানায়। এই খবর সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে দেশজুড়ে।

রক্ষকই এখানে ভক্ষক। গণধর্ষণে নাম জড়িয়ে গেল খোদ পুলিশকর্মীদেরই। মূল অভিযুক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেকটর পদমর্যাদার একজন অফিসার। গণধর্ষণের ঘটনায় তদন্তে নেমে মাথা হেঁট হয়ে গেছে হরিয়ানা পুলিশেরই।

খবরে প্রকাশ, গত সেপ্টেম্বর মাসে গণধর্ষণের এই ঘটনাটি ঘটে। বাড়িতে ঢুকে মা ও নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণ করে ১৮ জন। নির্যাতনের পরই মেয়েকে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন মা। তদন্তে নামে হরিয়ানা পুলিশ।

ঘটনার তদন্তে নেমে উঠে আসে একের পর এক অভিযুক্তের নাম। দেখা যায়, অভিযুক্ত ১৮ জনের মধ্যে ৭ জনই পুলিশকর্মী। মূল অভিযুক্ত একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর অফিসার ছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কনস্টেবল, হেড কনস্টেবল সহ পুলিশকর্মীরা। নির্যাতিতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সকল অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের।

বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন গ্রামের প্রাক্তন ও বর্তমান মোড়ল ও অন্যান্যরা। তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে মারাত্মক অভিযোগ। ঘটনার সময় তাঁরা নাকি সবাই ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে ‘মজা’ দেখছিল। এমনকি আরও নির্যাতন করার জন্য উৎসাহও দিচ্ছিল।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট তৈরি করেছে হরিয়ানা পুলিশ। সিটের নেতৃত্বে রয়েছেন একজন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে Protection of Children from Sexual Offences Act (POCSO) বা পকসো আইনেও মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন হরিয়ানার কইথল এর পুলিশ সুপার আস্থা মোদী।

পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন যে, ঘটনার ৩ মাস আগেই নাবালিকা মেয়েটি তার বাবার নামেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিল। যদিও সেই অভিযোগ পরে প্রত্যাহার করে নেয় মেয়েটি। সেই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোন যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টর সরকার ও কেন্দ্রে মোদী সরকার। হরিয়ানায় আসন্ন লোকসভা ভোটে এই ধর্ষণের ঘটনা যে প্রভাব ফেলতে পারে তাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন