নির্ভয়ার অপরাধীদের ফাঁসি দেবে কে; ফাঁসুড়ে খুঁজছে পুলিশ। সাত বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সাজা পায়নি; নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধিরা। ইতিমধ্যে ধর্ষকদের শেষবারের মতো; প্রাণভিক্ষার আবেদন অনুমতি কেড়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ২০১২ সালের নারকীয় ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের সাজার অপক্ষায় গোটা দেশ। তিহার জেলে বন্দী তিন অপরাধি কবে ফাঁসি কাঠে ঝুলবে সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। কিন্তু ফাঁসি যে দেবে; সেই ফাঁসুড়েই তো নেই তিহার জেলে। জেলের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। ফাঁসির দিন ধার্য হলে কি হবে; কোথায় মিলবে ফাঁসুড়ে তা ভেবেই এখন চিন্তার ভাঁজ জেল কর্তৃপক্ষের কপালে। ২০১২ সালে রাজধানীর রাস্তায় চলন্ত বাসে; গণধর্ষণের শিকার হয় ডাক্তারি পড়ুয়া। দেশ তার নাম দেয় নির্ভয়া। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর; হাসপাতালে প্রাণ যায় তার।
সেই মামলায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল; গোটা দেশ। শেষপর্যন্ত দোষীদের ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে; সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় শর্মা শেষ বারের মতো প্রাণভিক্ষার আবেদন জানালেও পরে প্রাণভিক্ষা খারিজের আবেদন জানায়। সে জানিয়েছে; সে প্রাণভিক্ষার কোনও আবেদনে স্বাক্ষর করেনি। চলতি মাসেই; ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়ার ধর্ষকদের। কিন্তু সেই ফাঁসি দেবে কে? জানা গিয়েছে; সংসদে হামলাকারী আফজল গুরুকে শেষবারের মতো ফাঁসি দেওয়া হয় তিহার জেলে।
আরও পড়ুন পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিশন আইজীবীদের, শীর্ষ আদালতে শুনানি বুধবার
সে সময়ও তিহারে কোনও ফাঁসুড়ে না থাকায়; আফজল গুরুকে ফাঁসি দিয়েছিলেন জেলেরই এক কর্তা।। এবারও ফাঁসুড়ে খুঁজতে মাঠে নেমেছেন, জেল কর্তারা। অন্যান্য জেল তো বটেই; কিন্তু পার্শ্ববর্তী গ্রামেও খোঁজ চলছে; ফাঁসুড়ের। যদিও জানা গিয়েছে, নাটা মল্লিকের ছেলে ফাঁসুড়ে হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। ফাঁসির সাজা খুবই বিরল, তাই স্থায়ীভাবে কখনও ফাঁসুড়ে রাখা হয় না জেলে। প্রয়োজনে খুঁজে নেওয়া হয়। এবারেও তাই করছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত ফাঁসুড়ের খোঁজ মেলেনি।