জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলায় ১৮২টি মাদ্রাসা বন্ধ করল পাকিস্তান

746
জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলায় ১৮২টি মাদ্রাসা বন্ধ করল পাকিস্তান/The News বাংলা
জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলায় ১৮২টি মাদ্রাসা বন্ধ করল পাকিস্তান/The News বাংলা

পাকিস্তানের ১৮২ টি মাদ্রাসা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিল পাক সরকার। জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলায় এই ১৮২টি মাদ্রাসা বন্ধ করল পাকিস্তান। ১২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের কূটনৈতিক চাপে এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ভারতের কূটনৈতিক চাপে এই কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে ইমরান খান সরকারকে। ১৮২ টি মাদ্রাসা নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ ই মহম্মদ। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুম্বাই হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সইদ।

কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলোতে সংস্কার আনার আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তিনি বলেছেন, “মাদ্রাসাগুলোর আধুনিকায়ন জরুরি”। পাকিস্তানে তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর তরফ থেকে লোকভর্তির কেন্দ্র হিসেবে মাদ্রাসাগুলোকে ব্যবহার করা হয় বলে দীর্ঘদিন ধরে যে অভিযোগ রয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন।

জেনারেল বাজওয়া বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার স্কুল হিসেবে মাদ্রাসাগুলো নিজেদের কার্যকারিতা হারিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এসব মাদ্রাসার জন্য মানসম্মত আধুনিক শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। পাক সেনাপ্রধান বলেন, “মাদ্রাসা সম্পর্কে প্রচলিত যে ধারণা রয়েছে তা বদলে দিতে হবে। আমরা তাদেরকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত শিক্ষা দিতে চাই”। তিনি বলেন, “আমি মাদ্রাসার বিরোধী নই কিন্তু আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে যে, আমরা মাদ্রাসার গুণগত মান হারিয়েছি”।

পাকিস্তানে সরকারি নথিভুক্ত প্রায় ২,০০০ মাদ্রাসা রয়েছে। কিন্তু সরকারি তালিকার বাইরে এর চেয়ে আরো অনেক বেশি মাদ্রাসা রয়েছে বলে ধারনা করা হয়। পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া ও সন্ত্রাসী হামলায় পাঠানোর পেছনে দেশটির কোন কোন মাদ্রাসা সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে মাদ্রাসার ছাত্ররা সন্ত্রাসী কার্যক্রম জড়িয়ে পড়ার কারণে পাকিস্তানে বেশ কিছু মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে জনরোষ ফুঁসে ওঠার ভয়ে মাদ্রাসাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপকহারে পদক্ষেপ নিচ্ছে না ইসলামাবাদ সরকার। এবার ফের ১৮২ টি এইধরনের জঙ্গি মাদ্রাসা বন্ধ করে দিল ইমরান খান সরকার।

তবে এটা পুলওয়ামা কাণ্ডের পর ভারতের তৈরি কূটনৈতিক চাপে পরেই পাকিস্তান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এতে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ইমরান খানের সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বড় ধরণের প্রত্যাঘাত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন