পাকিস্তানি নারীরা বিয়েতে বিক্রি হচ্ছে চীনে, সহ্য করছে ধর্ষণ

10439
পাকিস্তানী নারীরা বিয়েতে বিক্রি হচ্ছে চীনে, সহ্য করছে ধর্ষণ/The News বাংলা
পাকিস্তানী নারীরা বিয়েতে বিক্রি হচ্ছে চীনে, সহ্য করছে ধর্ষণ/The News বাংলা

ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে পাকিস্তান; এখন বন্ধু দেশ হিসাবে বেছে নিয়েছে চীনকেই। আর সেই কর্মকাণ্ডেই এবার ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের আমজনতা। পাক মেয়েদের সাদি করে নিয়ে গিয়ে; চীনে প্রতিদিন ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতি, নাতাশা মাসিহ নামে এক পাক যুবতীর ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় হইচই শুরু হয়েছে গোটা পাকিস্তানে।

এক পাকিস্তানি মেয়ে নাতাশা মাসিহ; পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে নিজের বিবাহের সনদপত্র দেখান। তিনি চীন থেকে নিজের মাকে ফোন করে জানান, তার শহর ফয়সালাবাদে খৃস্টান পুরুষদের একটি ছোট মাধ্যম দ্বারা পরিকল্পিত বিস্তৃত প্রকল্পের কথা; যা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে একটি অসুখী বিয়ে হিসাবে শুরু হয়; এবং তা থেকে পালিয়ে বাঁচতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পতিতাবৃত্তি সহ্য করতে হয়।

চূড়ান্ত সাহসে ভর করে সে তার বাড়িতে ফোন করলে; তার সেই অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়। তার স্বামী তাকে বলেন, “আমি তোমাকে পাকিস্তান থেকে কিনেছি; তুমি আমার সম্পত্তি।” এরপর সে আর কোনোকিছুই তার পরিবারকে জানাতে পারেনি।

১৯ বছর বয়সী এই তরুণী; দীর্ঘ সময় ধরে চীনে স্বামীর দ্বারা অত্যাচারিত হওয়ার পর; অবশেষে সে তার মাকে সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানায়। এরপর চীনের দূরবর্তী কোন স্থানে নাতাশাকে এক হোটেলে লুকিয়ে রাখেন স্বামী; এবং অন্য পুরুষের সাথে যৌন সঙ্গমে যেতে বাধ্য করেন।

নাতাশা সেই শত শত পাকিস্তানী মেয়েদের মধ্যে একজন; যারা দেশের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের অনর্ভুক্ত; টাকার বিনিময়ে কেবলমাত্র সেই পরিবারের লোকেরা মেয়েদের বিয়ে দেন চীনে। পাকিস্তানী এবং চীনা দালালরা এরকম লাভজনক বাণিজ্যে একসঙ্গে কাজ করে; প্রতারণা করেই বিয়ে করা হয় এইসব পাকিস্তানী মেয়েদের এবং তারা অপমানজনক ভাবে স্বামীদের সাথে চীনে আটকে পড়ে।

পাক পুলিশ জানিয়েছে, “চীনে এমন একাধিক পাক মেয়েরা আছে যাদের বেশ্যাবৃত্তি অবলম্বন করতে বাধ্য করা হয়। পরিবারগুলিকে বলা হয় যে; তাদের মেয়েদের ভাল ব্যবসায়ীদের সাথে বিয়ে দেওয়া হবে; ভাল জীবন দেওয়া হবে”। কিন্তু তদন্তকারীরা জানান, বেশিরভাগ মেয়েকে পতিতাপল্লিতে বিক্রি করা হয়।

পাকিস্তান প্রশাসন মেয়েদের চীন থেকে; ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছে। পুলিশ পাচারকারী নেটওয়ার্কগুলির প্রমাণ সংগ্রহ করছে। সেটিলেম ইকবাল বলেছেন, “এটি চীন অস্বীকার করছে, কিন্তু আমরা প্রমাণ দেখছি।” পাচারকারীদের ধরতে কড়া নজর পাক পুলিশের।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন