‘পিকে অভিষেকের যুগলবন্দী’; কি তৃণমূলের বিপর্যয়ের বড় কারণ? বাংলার রাজনৈতিক মহল অন্তত তেমনটাই ভাবছে। মুকুল রায়ের দল ছাড়ার সময়, শোনা গিয়েছিল; অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতার শীর্ষে বসাতেই; মুকুল রায়কে ছেঁটে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, তখন মুকুলের বিরুদ্ধে; সারদা-নারদায় অন্যান্য অভিযোগও ছিল। শুভেন্দু অধিকারী বিতর্কেও; প্রধান কারণ হিসাবে উঠে এসেছে; সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতার “ভাইপো প্রীতি”। এমনটাই মনে করছে; বাংলার রাজনৈতিক মহল। তবে, অভিষেকের চেয়েও এবারের তৃণমূলের বিপর্যয়ের প্রধান কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে; পিকে ও পিকের টিমের তৃণমূল অন্দরে নাক গলানো। অধিকাংশ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারাই; মেনে নিতে পারছেন না; পিকের খবরদারি। পিকে ও অভিষেক, দুটি নামই এখন বিধানসভা ভোটের আগে; তৃণমূলের সমস্যায় পড়ার অন্যতম কারণ; বলছেন তৃণমূল কর্মীরাও।
তৃণমূলের অন্দরে প্রশান্ত কিশোর, ওরফে পিকের টিমের কাজকর্ম নিয়ে; ক্ষোভ যত বাড়ছে; বিজেপি ততই সেই ক্ষোভকে কাজে লাগাচ্ছে। লোকসভা ভোটে ফল খারাপ হওয়ার পর; প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে; ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে নিযুক্ত করে; তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিভিন্ন জেলায় গিয়ে, কলকাতায়, বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক; কর্মশালা শুরু করেন প্রশান্ত কিশোর।
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর হাতে ভা’ঙন আটকাতে তৎপর তৃণমূল, জেলার নেতাদের কলকাতায় তলব অভিষেকের
কিন্তু, সম্প্রতি তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক; তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন। সবার প্রথমে, শুক্রবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া; কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী মুখ খুলেছিলেন। তারপর নাম না করে, পিকেকে আ’ক্রমণ করেন; ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। মুখ খুলেছেন, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক; নিয়ামত শেখ। বেসরকারি সংস্থা এসে, তাদের রাজনীতি শেখাচ্ছে; বলে প্রশ্ন তুলেছেন আরও অনেকেই।
অপরদিকে, তৃণমূলের একপক্ষের মত; হয়তো অন্য দলের অফার রয়েছে বা দলে হালে পানি পাচ্ছেন না; তাই পিকেকে সামনে এনে এসব কথা বলছেন বিক্ষুব্ধরা। কিন্তু মমতার দল ছেড়ে যারাই যাচ্ছেন; তাঁরাই হয় অভিষেক না হয় পিকের দিকেই; সরাসরি আঙুল তুলেছেন। মমতার কাছের, তৃণমূলের অনেক বড় নেতাও পিকে ও অভিষেককে নিয়ে ক্ষুব্ধ; তৃণমূল সূত্রে এমনটাই খবর। বাংলার বাজারে চায়ের তুফানেও; তৃণমূল সমর্থকরা দলের এই বিপর্যয়ে; পিকে ও অভিষেককেই দায়ী করছেন।