করোনা বিপদেও বাংলায় রেশন দুর্নীতি প্রমাণিত; ২৮৩ জন রেশন ডিলার অভিযুক্ত। এদের মধ্যে কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে; বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। করোনা পরিস্থিতি শুরু হবার পর থেকেই; রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী দল; এমনকি রাজ্যপালও অভিযোগ করেছিলেন রেশন দুর্নীতি নিয়ে। রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই অস্বীকার করেছিল; যে কোন রেশন দুর্নীতি হয় নি। তবে এবার রাজ্য সরকারেরই খাদ্য দফতরের তদন্তে; উঠে এল মারাত্মক তথ্য। দেখা গেল, করোনা আবহে রেশন দুর্নীতি হয়েছে। ২৮৩ জন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে; রেশন দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে।
করোনা আবহে, রেশন দুর্নীতি রুখতে; এই ২৮৩ রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে; বলেই জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এর আগে, রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যকে পাঠানো; রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের চিঠির কড়া জবাব দেয় নবান্ন। গত শনিবার রাজভবনে পাঠানো ওই চিঠিতে; রেশন নিয়ে রাজ্যপালের তোলা অনিয়মের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছিল।
নবান্ন সূত্রে খবর; রাজ্যপালকে পাঠানো ওই চিঠিতে জানানো হয়; “ইতিমধ্যেই ৯ কোটিরও বেশি মানুষ (রাজ্যের ৯০ শতাংশ জনগণ)-কে; গণবন্টন ব্যাবস্থার মাধ্যমে এই সঙ্কটজনক সময়ে; খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে; সুষ্ঠুভাবে খাদ্যশস্য পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। নির্দিষ্ট বিধি মেনেই; সামগ্রিক নজরদারির মধ্যে দিয়ে সেই বন্টন ব্যবস্থা চলছে।
আর সেই চিঠি পাঠাবার কয়েকদিনের মধ্যেই; রাজ্য সরকারেরই খাদ্য দফতরের তদন্তে উঠে এল মারাত্মক তথ্য। প্রমাণ হল, সাধারণ মানুষ, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের; ও স্বয়ং রাজ্যপালের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের ঘুম ভেঙেছে; এতেও কিছুটা হলেও খুশি আমজনতা। তবে রাজ্য সরকারের নিজের তদন্তেই ২৮৩ জন ধরা পরলে; বাংলার আসল তথ্যটা কি? প্রশ্ন তুলেছে বাম ও বিজেপি নেতারা।