দুর্গাপুজো নিয়ে; গুজব ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর কিছু না জেনেই, তা বোকার মত শেয়ার করছে; হাজার হাজার বাঙালি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েই; এবার সাবধান করল রাজ্য পুলিশ। দুর্গাপুজোয় রাজ্য সরকারের নিয়মকানুন নিয়ে; একটি লেখা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অথচ, দুর্গাপুজো নিয়মকানুন নিয়ে; এখনও কোন সিদ্ধান্তই নেয় নি নবান্ন। সেই গুজব পোস্ট; হাজার হাজার শেয়ার হচ্ছে। গোটা রাজ্য তো বটেই; গোটা দেশে বাঙালীদের মধ্যেই; ছড়িয়ে গেছে সেই গুজব। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফ থেকে পরিষ্কার জানান হয়েছে; এটি গুজব, রাজ্য সরকার দুর্গাপুজোয় নিয়মকানুন নিয়ে; এখনও কিছুই সিদ্ধান্ত নেয় নি।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন ভেঙে যজ্ঞ করল তৃণমূল, চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখল মমতার পুলিশ
এই সেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টঃ
“এবছর সারা রাতে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা বন্ধ। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে; দুর্গাপুজোর পঞ্চমী থেকে একাদশী পর্যন্ত; সবকটি দিন বিকেল পাঁচটার পর থেকে নাইট কারফিউ জারি থাকবে; চলবে ভোর চারটে পর্যন্ত। মণ্ডপে একসাথে 5 জনের বেশি প্রবেশ নিষিদ্ধ। অষ্টমীতে অঞ্জলিতে ফুল দেয়া নিষিদ্ধ; এবং কাটা ফল ব্যবহার করা যাবে না। প্রত্যেকের মুখে মাস্ক অনিবার্য এবং সকলের পকেটে; স্যানিটাইজার এর বোতল থাকতে হবে। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে থাকবে থার্মাল স্ক্রীনিং এর ব্যবস্থা। সন্দেহজনক মনে হলে; করোনা টেস্ট করানো হবে সঙ্গে সঙ্গে। পুজো কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী; কোন কাজ হবে না। সমস্ত কাজ হবে; পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তত্ত্বাবধানে। দশ ফুটের বেশি; কোন প্যান্ডেলে প্রতিমা করা যাবে না। প্রতিটি মন্ডপ হতে হবে খোলামেলা এবং সাবলীল”।
“স্টল বসবে হাতে গোনা কয়েকশো; গোটা কলকাতা জুড়ে। স্টল থেকে খাবার কিনে; সামনে খাওয়া যাবে না। সেটা নিয়ে সোজা বাড়ি চলে যেতে হবে। অষ্টমীতে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ক্ষেত্রে; শুধুমাত্র করজোড়ে অঞ্জলি নিবেদন করতে হবে। একসাথে 5 জনের বেশি কাউকে; প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যাতে বেশী ভিড় না হয়; তার জন্য পরিবহন ব্যবস্থায় রাস টানা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে মেট্রো ব্যবস্থা সাবলীল থাকবে। সকাল আটটা থেকে; দুপুর তিনটে পর্যন্ত মেট্রো চলবে। দশমী বিসর্জন এর ক্ষেত্রে; একসঙ্গে সিঁদুর খেলা ও বরণ করা যাবে না। এবারে সিঁদুর খেলার আয়োজন হবে না। এছাড়া প্রতিমা নিরঞ্জন করার জন্য; কোন বিশেষ শোভার আয়োজন করা হবে না। মণ্ডপ থেকে ঠাকুরকে বের করে; বাইরে রেখে দেয়া হবে এবং পৌরসভার লোকেরা গাড়ি নিয়ে এসে; সেই ঠাকুর নিয়ে সোজা গঙ্গার ঘাটে চলে যাবে”।
মঙ্গলবার সকালেই, রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়; “এই তথ্য পুরোটাই গুজব। রাজ্য সরকারের তরফে এই ধরণের কোন সিদ্ধান্ত; এখনও নেওয়া হয় নি। এই তথ্য যারা শেয়ার করবেন; তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।