খেজুরিতে বিজেপির সমাবেশ থেকে; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নি’শানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার খেজুরির হেড়িয়াতে; মমতার নন্দীগ্রামের সমাবেশের পাল্টা সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকেই; মমতাকে নি’শানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। রীতিমত চ্যা’লেঞ্জ ছুড়ে; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লেটার হেড ছাপিয়ে রাখার পরামর্শ দেন শুভেন্দু। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়েই তাঁকে; ‘তো’লাবা’জ ভাইপো’ বলে তো’প দাগেন শুভেন্দু অধিকারী।
পাঁচ বছর আগে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে সেখানকার প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নন্দীগ্রামে এবার নিজেই প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার এই ঘোষণার পরই বঙ্গ রাজনীতিতে নানা সমীকরণ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রার্থী ঘোষণার পরই অবশ্য সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতায় দাঁড়িয়েই মমতাকে চ্যা’লেঞ্জ ছুড়ে দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাফ লক্ষ ভোটে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হা’রাবেন বলে ঘোষণা করেন তিনি। জানিয়ে দেন ল’ড়াই এবার সামনা-সামনি।
আরও পড়ুন; তৃণমূল নেতা নেত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, এবার ‘টিকা চুরি’ করলেন বিজেপি নেতাও
শুভেন্দু আরও বলেছেন; “তো’লাবাজ ভ্রাতুষ্পুত্র যা বলবে তাই হবে। কার ভরসায় নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন মমতা? আমফানের টা’কা চো’র; এখন করোনার টি’কা চো’র। মেজ বোন; বড় বোন; যাইহোক; দু জায়গায় দাঁড়াতে দেব না। এখন থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে লেটারপ্যাড তৈরি রাখুন। রবিবার পর্যন্ত পুলিশকে সময় দিলাম। না হলে সোমবার তমলুকে বসে থাকব। আনিসুরকে গ্রে’ফতার করেছে তো তৃণমূল। শুধু মি’থ্যা কথা বলছেন মমতা। তোলাশ্রী পুরষ্কার পাবেন ভাইপো। মি’থ্যাশ্রী পুরষ্কার পাবেন মমতা”।
আরও পড়ুন; পুরুলিয়ার জনসভায় বি’ক্ষো’ভ, মে’জাজ হারালেন মমতা
মমতাকে উদ্দেশ্য করে এদিন শুভেন্দু বলেন; “গতকাল মাননীয়ার সভাকে আমি হায়দ্রাবাদের সভা বলে মনে করি। তিনি কোথায় সভা করছেন তা জানেন না। পাঁচ বছর পর পর নন্দীগ্রাম আসেন। ভোট এলেই মনে পড়ে যায় নন্দীগ্রামের কথা। তাই সব গুলিয়ে যাচ্ছে। শ’হিদ ভরত মণ্ডলকে বলছেন ভারত মণ্ডল। আমাকে পাতা দেখে শ’হিদের নাম বলতে হয় না”।