নকুলদানার সঙ্গে চলল আতর দাওয়াই, ঘাসফুলে ভোট কিনা গন্ধ শুঁকল তৃণমূল

526
নকুলদানার সঙ্গে চলছে আতর দাওয়াই, ঘাসফুলে ভোট কিনা গন্ধ শুঁকে জানবে তৃণমূল/The News বাংলা
নকুলদানার সঙ্গে চলছে আতর দাওয়াই, ঘাসফুলে ভোট কিনা গন্ধ শুঁকে জানবে তৃণমূল/The News বাংলা

চতুর্থ দফা ভোটে সম্পূর্ণ অন্য ছবি দেখলো বাংলা। বহরমপুর, আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে শুরু করে বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে অশান্তির খবর। দুই পক্ষের মারামারি থেকে শুরু করে গাড়ি বাড়ি ভাঙচুর সব কিছুই শুরু হয়েছে চতুর্থ দফা ভোটের সকাল থেকেই। কিন্তু বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মঙ্গলকোট মাজিগ্রামের ভোটারদের সম্পূর্ণ অন্য অভিজ্ঞতা হলো।

আঙুল দেখানো নয়, শুঁকে দেখছেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, ইভিএম-এ তৃণমূলের প্রতীকের পাশের বোতামে আগে থেকেই লাগিয়ে রাখা হয়েছিল আতর। ভোট দিয়ে বেরোনোর পরেই আঙুলের গন্ধ থেকেই দলের কর্মীরা বুঝে যাচ্ছেন, তৃণমূলে ভোট দিয়েছেন কি না। তার পর সেই অনুযায়ী দাওয়াই। যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বীরভূমের নানুরে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীকে লাঠি হাতে পাল্টা দিলেন গ্রামের মহিলারাই

বীরভূম কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ভোটের আগে থেকেই হুমকি, শাসানি, মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর ভোটের দিন সেই সব শাসানিতে কাজ হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হবার জন্যই এই অভিনব কৌশল প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম অঞ্চলের বকুলিয়ার ১৩২ নম্বর বুথে।

স্থানীয় সূত্রে খবর অনুযায়ী, কিছু ভোটকর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তৃণমূল কর্মীরা ইভিএমে দলের প্রতীকের পাশের বোতামে আতর লাগিয়ে রাখে। তৃণমূলে ভোট দিলেই সেই আতরের গন্ধ লেগে যাচ্ছে আঙুলে। এর পর কেউ ভোট দিয়ে বেরোলেই তাঁর আঙুল শুঁকে পরীক্ষা করছে তৃণমূল কর্মীরা। কারও আঙুলে গন্ধ না থাকলেই তাঁকে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, পোলিং অফিসার-বাবুল কথা কাটাকাটি

বুথের ২০০ মিটারের মতো দূরে তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় বসে ছিলেন। ভোটাররা বুথে যাওয়ার আগেই তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুড়ি-নকুলদানা বা ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট। বুথের দিকে আর এগোতে দেওয়া হয়নি। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ির পথে। ভোটাররাও অশান্তির ভয়ে ফিরতি পথ ধরেছেন।

অভিযোগ আরও রয়েছে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, ভোটকর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও নিজেদের পক্ষে কাজ করাতে তৎপর ছিল তৃণমূল। ভোটের আগের রাতেই তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় শাসক দলের তরফে। বিলি করা হয় সিগারেট, প্যাকেটজাত খাবারও।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন