‘যমজ ঘূর্ণিঝড়’, একা অশনি-তে রক্ষা নেই করিম দোসর, দু-দুটি ঘূর্ণিঝড় একসঙ্গে

2237
একা অশনি-তে রক্ষা নেই করিম দোসর, দু-দুটি ঘূর্ণিঝড় আসছে একসঙ্গে
একা অশনি-তে রক্ষা নেই করিম দোসর, দু-দুটি ঘূর্ণিঝড় আসছে একসঙ্গে

একা অশনি-তে রক্ষা নেই করিম দোসর; দু-দুটি ঘূর্ণিঝড় আসছে একসঙ্গে। অশনির দোসর হিসাবে হাজির করিম! আতঙ্ক তৈরি করেও; সেই অর্থে তেমন ভোগায়নি ঘূর্ণিঝড় অশনি। তবে অশনির চোখ-রাঙানি পুরোপুরি মিলিয়ে যেতে না যেতেই; নাসার উপগ্রহে ধরা পড়ল আরও এক ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেত। উপগ্রহ-চিত্র বলছে, ভারতের দক্ষিণে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। ভারত মহাসাগরে তৈরি হওয়া; এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম করিম।

অশনির পরে এবার, ভারতের উপকূলে; দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। ‘অশনি’র পিছু-পিছুই; ধেয়ে আসছে ‘করিম’। একসঙ্গে দুই ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাব বিরল না হলেও; মূলত উঁচু জায়গাতেই এতদিন তা দেখা গিয়েছে। নিরক্ষরেখার দক্ষিণে, অপেক্ষাকৃত নীচু জায়গায়; এমন ঘটনা সচরাচর চোখে পড়ে না বলে মত বিশ্বের আবহবিদদের।

‘Twin Cyclones’, যমজ ঘূর্ণিঝড়; ধরা পরেছে, নাসার উপগ্রহে। আমেরিকার দ্য ওয়েদার চ্যানেল জানিয়েছে; “দুই ঘূর্ণিঝড় যদি পরস্পরের ১০০০ কিলোমিটারের মধ্যেও এসে পড়ে; তাদের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ তৈরি হয়। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত দুই ঘূর্ণিঝড়ের; ব্যবধান ছিল ২৮০০ কিলোমিটার। ‘অশনি’ এবং ‘করিম’ এর ঘূর্ণি বিপরীতমুখী; একটি নিরক্ষরেখার উত্তর অভিমুখে, অন্যটির দক্ষিণ অভিমুখে। ‘অশনি’র ঘূর্ণি ঘড়ির কাঁটার বিপরীতমুখী; ‘করিম’-এর ঘূর্ণির অভিমুখ ঘড়ির কাঁটার ন্যায়। তাই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠার; কোনও ইঙ্গিত আপাতত নেই”।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার আর্থ অবজারভেটরি জানিয়েছে; “করিম হারিকেন ঝড় হতে চলেছে। তবে ভারতের এই ঘূর্ণিঝড়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই; কারণ নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থান করছে করিম”। ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন ‘করিম’-কে; তীব্রতার নিরিখে দ্বিতীয় শ্রেণির ঘূর্ণিঝড় চিহ্নিত করা হয়েছে। সমুদ্রে শক্তি খুইয়ে দুর্বল হয়ে পড়ার আগে; ‘অশনি’র গতিবেগও ছিল ১০০-১১০ কিলোমিটার/ঘণ্টা।

দু-দিক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড় আসার ঘটনা; শেষবার ২০১৯ সালে বঙ্গোপসাগরে দেখা গিয়েছিল। সেবার ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এবং ‘লর্না’র অবির্ভাব ঘটেছিল একইসঙ্গে। তবে ‘লর্না’র প্রভাবে, ‘ফণী’র শক্তি হ্রাস পায় সেইসময়।

গত সপ্তাহে আন্দামান সাগরের কাছে; ‘অশনি’র উৎপত্তি। ধীরে ধীরে তা শক্তি বাড়িয়ে; ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। কিন্তু তারপরেই শক্তি হারিয়ে; দুর্বল হয়ে পড়ে ‘অশনি’। অন্যদিকে, ভারত মহাসাগরে ‘করিম’ মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে খোলা সমুদ্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সে। তবে আমেরিকার জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে; খুব শীঘ্রই শক্তি হারাবে করিম।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন