সোনারপুর হত্যাকাণ্ডে স্বামীকে বেহুঁশ করে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন স্ত্রী

708
সোনারপুর হত্যাকাণ্ডে স্বামীকে বেহুঁশ করে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন স্ত্রী/The News বাংলা
সোনারপুর হত্যাকাণ্ডে স্বামীকে বেহুঁশ করে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন স্ত্রী/The News বাংলা

The News বাংলা, সোনারপুরঃ চাঞ্চল্যকর মোড় সোনারপুর হত্যাকাণ্ডে। স্বামীকে বেহুঁশ করে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন স্ত্রী। জানাজানি হতেই নৃশংস খুন। ঠিক যেন মনুয়া কাণ্ডের ছায়া। উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে।

আরও পড়ুনঃ পাহাড়ে পুলিশ হত্যা ও অশান্তির ঘটনায় বিমল রোশনকে বাঁধল সিআইডি

ফের মনুয়া কাণ্ড, এবার সোনারপুরে। স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল স্ত্রীর। স্ত্রীর এই পরকীয়া জানতে পেরে গিয়েছিলেন স্বামী। তারপর একাধিকবার স্ত্রী ও বন্ধুকে সাবধান করেছিলেন সোনারপুরের কমল বৈদ্য। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। সমানে চলছিল পরকীয়া। আর পরকীয়ার পথে কাঁটা সরাতেই প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুনের চক্রান্ত করেছিল স্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ ‘ইন্দিরা গান্ধী ভারতে এমারজেন্সি লাগু করেছিলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’

সোনারপুর হত্যাকাণ্ডে স্বামীকে বেহুঁশ করে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন স্ত্রী/The News বাংলা
সোনারপুর হত্যাকাণ্ডে স্বামীকে বেহুঁশ করে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন স্ত্রী/The News বাংলা

সোনারপুরের চৌহাটিতে ব্যবসায়ী কমল বৈদ্য খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। এই ঘটনায় অনুপম বৈদ্য নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পেরেছে, এই খুনের পিছনে রয়েছে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। মূল অভিযুক্ত মিঠুন রায় পলাতক। তার সন্ধানে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ মঙ্গলবার হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ঘরে বাংলায় ‘গেরুয়া রথ’ এর ভবিষ্যৎ

অভিযোগ, কমল বৈদ্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিঠুন। সেই সুবাদে তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল কমলের বাড়িতে। এরপরই মিঠুন রায়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে কমলের স্ত্রী। কমলের পরিবারের সদস্যরা বহুবার তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরে ফেলে। কমলও জানতে পারে স্ত্রীর এই স্বভাব। পরিবারের সম্মানহানির ভয়ে তখনকার মতো মিটিয়ে নেওয়া হয়।

সোনারপুর হত্যাকাণ্ডে স্বামীকে বেহুঁশ করে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন স্ত্রী/The News বাংলা
সোনারপুর হত্যাকাণ্ডে স্বামীকে বেহুঁশ করে বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন স্ত্রী/The News বাংলা

ধৃত অনুপম জানায়, মিঠুনই তাকে এই হত্যাকাণ্ডে জড়ায়। মিঠুনের হয়ে সে কাজ করত। ঘটনার দিন মিঠুন তাকে ডেকে পাঠায়। তারপরই সে গিয়ে দেখে এই ঘটনা। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক মিঠুন। উল্লেখ্য, শনিবার সকালে চৌহাটি বাইপাসের রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় কমল বৈদ্যের গলার নলিকাটা দেহ।

আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি

পুলিশ মনে করছে, শুক্রবার গভীর রাতে এই খুনের ঘটনা ঘটে। মাকে ফোন করে কমল জানিয়েছিলেন, তিনি বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু আর ফিরে আসেন নি। ফোনের কললিস্ট ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই রাতে কমল ও মিঠুনের মধ্যে ফোনে কথা হয় রাত দেড়টা নাগাদ। তারপরই এই খুনের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুনঃ শিক্ষিতদের বিধায়ক করল তেলাঙ্গানা, কবে শিখবে বাংলা

কমলের দাদা ঘটনার রাতেই মিঠুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তিনি জানতে পারেন, মিঠুন তার বাড়িতেই রয়েছে, ঘুমোচ্ছে। মদ খাওয়ানোর পর কমলকে খুন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, কমলকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করেই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হত মিঠুন। মিঠুনের স্ত্রী এই ধরনের ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুনঃ শুধু দিনে নয় দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যের টয় ট্রেন এবার সন্ধ্যাবেলাতেও

কমলের স্ত্রী জেরায় ভেঙে পরে সব স্বীকার করেছে। কমলকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করেই মিঠুনের সঙ্গে মিলিত হত তাঁর স্ত্রী। এখনও তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। দুজনের বিরুদ্ধেই খুনের মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

পড়ুন হাড়হিম করা অদ্ভুত সত্য গল্প:

পড়ুন প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন