মমতার হুশিয়ারির পরে, পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উপর ফের বহিরাগত হামলা

411
মমতার হুশিয়ারির পর, পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উপর হামলা/The News বাংলা
মমতার হুশিয়ারির পর, পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উপর হামলা/The News বাংলা

নতুন করে তীব্র উত্তেজনা শুরু হল এনআরএস হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী মমতার হুশিয়ারির পরে, পুলিশের সামনেই; আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উপর বহিরাগত হামলা। লাঠি, হকি স্টিক নিয়ে ডাক্তারদের আন্দোলনে; ঝাঁপিয়ে পরে কিছু দুষ্কৃতী। এত কাণ্ডের পরেও ডাক্তারদের উপর হামলার ঘটনায়; নতুন করে প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।

এবার পরিষেবা চালুর দাবিতে বেশ কিছু বহিরাগত; তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেছে হাসপাতালে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে; হাসপাতালের গেট বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। লাঠি, হকি স্টিক নিয়ে ডাক্তারদের আন্দোলনে; ঝাঁপিয়ে পরে কিছু দুষ্কৃতী। ফের আহত হয়েছেন একজন জুনিয়ার ডাক্তার।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতার হুঁশিয়ারির প্রতিবাদে এবার গণ ইস্তফা ডাক্তারদের

পরিষেবা চালুর দাবিতে বহিরাগতরা; তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বহিরাগতদের হাতাহাতি লেগে যায়। গোটা এনআরএস চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ, বোতল ও ইট ছুড়ছে বহিরাগতরা। তারা গেট দিয়ে জোর করে ঢুকে; জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা চালায়। অভিযোগের তীর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দিকেই।

অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের দেওয়া; মুখ্যমন্ত্রীর সময়সীমাও শেষ। তাও কর্মবিরতি কাটিয়ে কাজে ফেরেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সিনিয়র চিকিৎসকদের কাছে; সরাসরি চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছেন মমতা। রাজ্যের প্রবীণ চিকিৎসক ও অধ্যাপকদের চিঠি দিয়ে; হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর।

আরও পড়ুনঃ এসএসকেএমে মেজাজ হারালেন মমতা, বিজেপির উত্থানেই কি বিপর্যস্ত

এনআরএস হাসপাতালে পুলিশের সামনেই; জুনিয়র ডাক্তারদের উপরে চড়াও হয় একদল বহিরাগত। সহকর্মী পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে; নীলরতন সরকার হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই অবস্থান বিক্ষোভেই হকি স্টিক নিয়ে; হামলা চালাল কয়েকজন বহিরাগত যুবক।

জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভে; বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের সবকটি প্রবেশপথ। সকালে রোগীর পরিজনদের অনুরোধে; এমারজেন্সি গেটের একটা পাল্লা খোলা হয়েছিল। সেই গেট দিয়েই বিকালে; পুলিশের সামনেই হকি স্টিক নিয়ে; অতর্কিতে হামলা করে কয়েকজন বহিরাগত যুবক। চলে ভাঙচুর।

কিন্তু বহিরাগত যুবকরা কারা? পুলিশের সামনেই তারা হামলা চালানোর সাহস পেল কোথা থেকে? আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের দাবি; তাঁদের প্ররোচনা দিতেই বহিরাগতরা এসেছিল। পাল্টা মারমুখী হলে জুনিয়র ডাক্তারদের কাঠগড়ায় তোলা হত। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে এক তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকেই। তবে পুলিশ এই তথ্য উড়িয়ে দিয়েছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন