পাহাড়ে নিজের বাড়ি থেকে বিমলকে ধরল মমতার পুলিশ

850
পাহাড়ে নিজের বাড়ি থেকে বিমলকে ধরল মমতার পুলিশ/The News বাংলা
পাহাড়ে নিজের বাড়ি থেকে বিমলকে ধরল মমতার পুলিশ/The News বাংলা

The News বাংলা,কার্শিয়াংঃ এক বিমলকে ধরে আর এক বিমলের সন্ধানে। পাহাড়ে বিমল গুরুংকে ধরতে আরও একধাপ এগোল মমতার পুলিশ। যে কোনদিন জালে উঠতে পারে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। এবার পুলিশের জালে গুরুং ঘনিষ্ট আরও এক মোর্চা নেতা।

দীর্ঘ খোঁজাখুজির পর অবশেষে পুলিশের জালে বিমল গুরুং ঘনিষ্ট মোর্চা নেতা বিমল দর্জি। এক বছর আগে কার্শিয়াং থানার অন্তর্গত গয়াবাড়ি রেল স্টেশনে আগুন লাগানোর ঘটনায় মুল অভিযুক্ত ছিল বিমল দর্জি। এরপরই তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ‘দেশের একমাত্র যোগ্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন মমতা বন্দোপাধ্যায়’

শনিবার তার নিজের বাসভবন থেকেই তাকে আটক করে কার্শিয়াং থানার পুলিশ। রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করে কার্শিয়াং আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে গতবছর অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা পার্বত্য অঞ্চল। মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে গোটা পাহাড় অশান্ত হয়ে ওঠে। সে সময় পাহাড়ের নানান জায়গায় মোর্চা সমর্থকরা রীতিমত তান্ডব চালায়।

আরও পড়ুন: মোদী সরকারের গড়িমসিতে ‘সার্কিট বেঞ্চ’ চালু হচ্ছে না অভিযোগ মন্ত্রীর

লাগাতার বনধ, আন্দোলনের পাশাপাশি একাধিক জায়গায় ভাঙচুর, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চালায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেই সময় ১৫ জুন গয়াবাড়ি রেলস্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেয় মোর্চা সমর্থকরা। এছাড়া বহু সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ ওঠে মোর্চার বিরুদ্ধে।

গয়াবাড়ি রেল স্টেশনে আগুন লাগাবার অভিযোগে বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয় বিভিন্ন থানায়। তাদের মধ্যে মুল অভিযুক্ত হিসেবে বিমল দর্জির নাম সামনে আসে। তিনি বিমল গুরুংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ট ব্যক্তি বলে পরিচিত।

আরও পড়ুন: বিজেপির ‘বাংলা রথ’ এখন দেখার ও সেলফি তোলার অন্যতম আকর্ষণ

সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে বিমল দর্জির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়। সেই থেকে বিমল গুরুংয়ের মত সেও গা ঢাকা দিয়ে ছিল। শনিবার রাতে সে তিনধরিয়ায় তার বাড়িতে এলে গোপন খবরের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় কার্শিয়াং থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: আরও সাজিয়ে তোলা হবে বাঙালির প্রিয় দিঘা সমুদ্রসৈকতকে

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সারারাত জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবারই তাকে কার্শিয়াং আদালতে তোলা হয়৷ অভিযুক্তের পক্ষের উকিল আদালতে বিমল দর্জির জামিনের আবেদন জানান। বিচারক তার জামিনের আবেদন খারিজ করে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

বিমল দর্জিকে সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিমল গুরুং এর সন্ধান জানতে চাইছে পুলিশ। আগামী কয়েকদিনও জেলে গিয়ে তাকে জেরা করবে পুলিশ, এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন