হাসপাতাল চত্বরে রাতভর ডিজে-নাচা-গানা নীরব পুলিশ

668

The News বাংলা, শিলিগুড়িঃ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মাইক ও বক্স বাজিয়ে চলল সাংস্কৃতিক জলসা। অভিযোগ, দেখে শুনেও নিরুত্তাপ প্রশাসন। প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত হিন্দি, বাংলা গানে চললো উদ্দ্যাম নৃত্য। ফিরেও তাকালো না শিলিগুড়ি পুলিশ প্রশাসন। ক্ষোভ হাসপাতালের রোগী ও তাঁদের পরিজনদের।

আরও পড়ুনঃ মাছ ধরতে গিয়ে গলায় আটকাল জ্যান্ত কইমাছ

সবে মাত্র কয়েকটা দিন হয়েছে দীপাবলির। আবার সেই উৎসবকেই উৎযাপন করতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাত্র পঞ্চাশ মিটারের মধ্যে অনুষ্ঠিত হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জানা গেছে, মেডিক্যাল কলেজের পুরনো গেটের বাইরে একটি কালি মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরের একটি কমিটিও রয়েছে। অভিযোগ, সেই কমিটির উদ্যোগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

Image: The News বাংলা
Image: The News বাংলা

শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলে। রবিবার সব জানার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের আত্মীয়রা।

রাত ১২টার পরও বেশ জোরেই মাইক ও সাউন্ড বক্স বাজিয়ে উদ্যম নৃত্য করে দীপাবলি উৎযাপন করে স্থানীয়রা। আর এর ফলে চরম সমস্যায় পড়তে হল হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের। রোগীদের আত্মীয়দের অভিযোগ, গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ আওয়াজে গান বাজনা চলে। তাতে সমস্যা হয় তাঁদের রোগীদের।

আরও পড়ুনঃ বাংলার দর্শক শূন্য আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

কিন্তু অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরত্বে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ি হলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি পুলিশ প্রশাসনকে, বলে অভিযোগ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা রোগী এবং তাদের আত্মীয়দের।

Image: The News বাংলা
Image: The News বাংলা

জানা গেছে, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুরনো গেটের বাইরে ওই মন্দিরের পাশেই তৈরি করা হয়েছিল মঞ্চ। দীপাবলি উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই উপলক্ষে বিকাল থেকেই চলছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠান। রাত দশটার পর শুরু হয় ডিজে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ডিজের আওয়াজ।

আরও পড়ুনঃ কাকার হাতে ধর্ষিতা নাবালিকা ভাইঝি

আর সেই কারণেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ রোগীর আত্মীয় স্বজনের। রাত বারোটার পরে চলল সাউন্ড বক্স বাজিয়ে উদ্দাম নাচ। যদিও পুলিশ প্রশাসন ও হাসপাতাল কত্তৃপক্ষের কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।

ভয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করতে চাননি থানায়। আর কে না জানে এমনিতেই নিজের উদ্যোগে এই ধরনের ঘটনাতে মুখ লুকিয়েই রাখে পুলিশ। ফলে কোন অভিযোগ না হওয়ায় শিলিগুড়ি পুলিশ এই নিয়ে কিছু বলতে চায় নি। প্রশ্ন একটাই, রাত ১২ টায় রোগীরা কি করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে থানায় যাবে অভিযোগ জানাতে?

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন