তৃণমূল বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, বাংলার সব এসপি অফিস ঘেরাও করল বিজেপি

5185
তৃণমূল-বিজেপি গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় সংঘর্ষ/The News বাংলা
তৃণমূল-বিজেপি গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় সংঘর্ষ/The News বাংলা

রাজ্য জুড়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে; রাজ্যের সব এসপি অফিস ঘেরাও করল বিজেপি। দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেছিলেন, সোমবার রাজ্যের প্রতিটি জেলায়; পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হবে। তিনি বলেছেন, “তৃণমূল নেতাদের জনরোষের হাত থেকে রক্ষা করতে; পুলিশ বারবার গুলি চালাচ্ছে”।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও এদিন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। শনিবার বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে; তৃণমূলের মিছিলকে কেন্দ্র করে; উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তৃণমূলের মিছিল ঘিরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া শুরু করে। ২ বিজেপি সমর্থক-সহ মোট ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন।

বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ গুলি চালিয়েছে। পুলিশ অবশ্য গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেন। বিজেপি অভিযোগে অনড় থেকে; ইতিমধ্যেই পাত্রসায়রের ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে। ভাটপাড়া নিয়েও; সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা বলে; বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে দেন দিলীপ ঘোষ।

দিলীপ ঘোষের কথা অনুযায়ী; সোমবার দুপুর ১২টা থেকেই; রাজ্যের সব জেলায়; বিজেপি পথে নামল। ঘেরাও করা হল সব পুলিশ সুপার অফিস। গত কয়েকদিনে ভাটপাড়া, আমডাঙা, পাত্রসায়র, খণ্ডঘোষ, নরেন্দ্রপুর, চোপড়া থেকে; রাজনৈতিক হিংসার খবর আসতে শুরু করে; তারই প্রতিবাদে বিজেপির রাস্তায় নামা।

আরও পড়ুনঃ খেয়েছেন যারা কাটমানি, দাদারা অথবা দিদিমণি, কাটমানি নিয়ে মমতাকেই আক্রমণ নচিকেতার

দিলীপবাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা এখন যে রকম, তা শুধু রাজ্যের নয়; সারা দেশের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মীদের রক্ষা করার জন্য আমাদের রাস্তায় নামা ছাড়া; আর কোনও পথ খোলা নেই”।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কথা বলছেন। কাটমানির কথা মুখ্যমন্ত্রী এত দিন জানতেন না, এমন তো নয়। উনি সব জানতেন। এত দিনে স্বীকার করছেন”। দিলীপবাবু আরও বলেন যে; “যে কাটমানির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলেছেন; তার ভাগ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও পান”।

দিলীপবাবু বলেন, “এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে তৃণমূল ‘বোড়ে’ হিসেবে ব্যবহার করছে। তাঁর মন্তব্য, “সংখ্যালঘু সমাজের চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে তারা যেন ব্যবহৃত না হন। না হলে তাদের সুরক্ষা নিয়েই সংশয় দেখা দেবে”। “বিজেপিই রাজ্য জুড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে; পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন