প্রচারে বেড়িয়ে দুষ্কৃতীর ভোজালি হামলার মুখে বিজেপি প্রার্থী, কর্মীর গলায় কোপ

669
প্রচারে বেড়িয়ে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর অস্ত্র হামলার মুখে বিজেপি প্রার্থী/The News বাংলা
প্রচারে বেড়িয়ে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর অস্ত্র হামলার মুখে বিজেপি প্রার্থী/The News বাংলা

প্রচারে বেড়িয়ে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর অস্ত্র হামলার মুখে বিজেপি প্রার্থী, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। প্রার্থীকে বাঁচাতে নিজে দুষ্কৃতীদের অস্ত্রের মুখে ঝাঁপালেন পাশে থাকা এক বিজেপি কর্মী। নিজে গুরুতর আহত হয়েও প্রাণ বাঁচালেন বিজেপি প্রার্থীর। ঘটনা পুরুলিয়ার ঝালদায়। ঝালদার ২ নম্বর ব্লকের মাঝিডিহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তার জেরেই দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপে উত্তপ্ত গোটা পুরুলিয়া।

পুরুলিয়া জেলার কোটশিলার মাঝিডিহ গ্রামে প্রচার শুরুর ঠিক আগে মূহুর্তে পুরুলিয়ার বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর ওপর ভোজালি নিয়ে আক্রমন করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির তরফ থেকে। ভোজালি নিয়ে সরাসরি পুরুলিয়ার বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর উপর ঝাঁপিয়ে পরে এক দুষ্কৃতী। এরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের আশ্রিত বলেই অভিযোগ বিজেপির তরফ থেকে।

আরও পড়ুনঃ টার্গেট মুর্শিদাবাদ, অধীরকে হারাতে বহরমপুরে ইমামদের নিয়ে সভা শুভেন্দুর

প্রার্থীকে বাঁচাতে সামনে এগিয়ে আসেন বিজেপির এক কর্মী। পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্যর স্বামী ও বিজেপি কর্মী শালগ্রাম মাহাত, প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে বাঁচাতে সামনে চলে এলে ওনার গলাতে ভোজালির কোপ মারে লছু কুমার নামে ওই দুষ্কৃতী। এই মূহুর্তে ওনার অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। তাঁকে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে ভর্তি কড়া হয়েছে। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওনাকে রেফার্ড করা হচ্ছে কলকাতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য।

আরও পড়ুনঃ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, অর্জুনের ভাটপাড়ায় মদন

তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের দাবী, এই ঘটনার সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো সম্পর্ক নাই। ওটা গ্রামীণ বিবাদ। তৃণমূলের দাবী, শালগ্রাম মাহাতোর বৌ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। উনি নন। যিনি মেরেছেন লছু কুমার সিপিএমের লোক। এটা সিপিএম আর বিজেপির দ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএম ও বিজেপির দ্বন্দ্ব বলেই জানান হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে।

আরও পড়ুনঃ প্রার্থী না পেয়ে এক মাতালকে টিকিট তৃণমূলের, মদনকে কটাক্ষ অর্জুনের

বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী এই হামলার জন্য দায়ি করেছেন তৃণমূলকেই। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা নভেন্দু মাহালি জানিয়েছেন এর সঙ্গে তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই। এটা বিজেপি ও সিপিএমের ঝামেলার জন্যই হয়েছে। তবে সিপিএমের তরফ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল বিজেপির ঝগড়ার দিকেই নিশানা সিপিএমের।

আরও পড়ুনঃ বাড়ি নেই, গাড়ি নেই, বাংলার অন্যতম গরিব প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

তবে ফেরার অভিযুক্ত লছু কুমার। তার সন্ধান চালাচ্ছে পুরুলিয়া পুলিশ। জেলা প্রশাসনের কাছে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের মুখে ভোজালি হামলার পর এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভোটের মুখে প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনায় আঙুল উঠছে পুলিশের দিকেও। পুলিশ পাহারা ছিল কিনা প্রশ্ন উঠছে সেই নিয়েও।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন