দুদফায় ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় তৃতীয় দফায় সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী

1609
দুদফায় ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় তৃতীয় দফায় সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী/The News বাংলা
দুদফায় ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় তৃতীয় দফায় সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী/The News বাংলা

লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় রাজ্যের ৫ লোকসভা কেন্দ্রের ১০০ শতাংশ বুথেই দায়িত্বে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই উপলক্ষ্যে রাজ্যে আসছে ৩২৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই প্রথম রাজ্যের বিরোধী দলগুলোর কথা মেনে নিল নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের দাবী ছিল বাংলায় সব বুথেই রাখা হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী।

আরও পড়ুনঃ ভোটের পরেও অশান্ত চোপড়ায় গুলির লড়াই, গুলিবিদ্ধ সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র

রাজ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রথম দফা ভোটের আগে থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের দাবি উঠেছিল। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটকর্মীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কিন্তু বেশিরভাগ কেন্দ্রেই কেন্দ্র ও রাজ্য পুলিশকে যৌথভাবে নিয়োগ করা হয়। অনেক বুথেই শুধু রাজ্য পুলিশ ছিল। সেখানে ঝামেলাও হয়েছে প্রচুর।

আরও পড়ুনঃ মমতার সভা আলো করে বসে দাগী সমাজবিরোধী, নির্বাচন কমিশনে গেল বিরোধীরা

প্রথম দফার নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি আরও জোরালো হয়। কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক দুই শতাধিক বুথে ছাপ্পা ও বুথ জ্যামের অভিযোগ তোলেন। নির্বাচন কমিশনের দরবারে গিয়ে মাটিতে বসে ধর্ণা দেন মুকুল রায়। মুকুলের নেতৃত্বে দাবিতে অনড় থাকেন বিজেপির রাজ্যের প্রতিনিধিরা। কিন্তু দ্বিতীয় দফার ভোটেও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। ঝামেলাও হয় সেই সব বুথে।

আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন ৪২ এর স্বাধীনতা আন্দোলনের শেষ জীবিত সৈনিক

যদিও চাপের মুখে দ্বিতীয় দফায় ৮০ শতাংশ বুথে নিয়োগ হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তা সত্ত্বেও রাজ্যে ৩ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এদিন ভয় দেখানো, অবরোধ, বোমাবাজি, হামলা পাল্টা হামলা; এসবই টিভির পর্দায় প্রত্যক্ষ করেছে রাজ্য সহ রাজ্যবাসী। সকাল সকাল এক সাংবাদিকের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ পাঁচে পাঁচ, ভোট হয়ে যাওয়া বাংলার ৫টি আসনেই জিতবে বিজেপি, দাবি মুকুল রায়ের

দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চোপড়ায় গ্রামবাসীরা সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভোট দেবার দাবি তোলেন। তৃণমূলের লোকেরা তাদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। রাজ্য পুলিশ তাদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিলেও তারা তাদের দাবিতে অনড় থাকেন।

অবশেষে এক পর্যায়ে তারা রাজ্য পুলিশের সহায়তায় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান। এদিকে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামে ৬০০ জন হিন্দু ভোটারের ভোটার কার্ড কেড়ে রেখে ভোট দানে বঞ্চিত করার অভিযোগ তোলা হয় গ্রামের কিছু প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের বোকামিতে বাংলার ফিল্ম সিরিয়াল পরিচালকদের মাথায় হাত

এই অবস্থায় অভিযোগ খতিয়ে তৃতীয় দফার নির্বাচনে ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করতে সচেষ্ট নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৩শে এপ্রিল রাজ্যের তৃতীয় দফার নির্বাচন। ভোট অনুষ্ঠিত হবে বালুরঘাট, মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ এই ৫ লোকসভা কেন্দ্রে।

আগে ঠিক হয়েছিল, ২৭৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। কিন্তু পরিস্থিতি বিচার করে এই ৫ কেন্দ্রের ১০০ শতাংশ বুথে মোট ৩২৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হচ্ছে কমিশনের তরফে।

আরও পড়ুনঃ রিভালবার নিয়ে বুথে ঢুকে ভোট দেওয়ায় সঞ্জয় দত্তকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন