লোকসভা ভোটে বিজেপির একমাত্র ভরসা সেই নরেন্দ্র মোদীই

448
Narendra Modi is the only hope for BJP/ The News বাংলা
লোকসভা ভোটে বিজেপির একমাত্র ভরসা সেই নরেন্দ্র মোদীই/The News বাংলা

ফের মোদী ঝড়ের অপেক্ষায় বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আর কোন নেতাই মানুষকে আকর্ষণ করতে পারছেন না। সবাই চায় মোদীর প্রচার। দেশের ৫৪২ টি আসনের বিজেপি বা বিজেপি সমর্থিত বা বিজেপি জোটের প্রার্থীই চান মোদী আসুন তাঁর কেন্দ্রে প্রচারে।

২০১৪ সালে ভারতের জাতীয় নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যতম ট্রাম্পকার্ড ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসন্ন নির্বাচনী প্রচারে ধারাবাহিকভাবে তাঁর নেতৃত্বকে নতুন করে মানুষের সামনে তুলে ধরার যথেষ্ট ভালো কারণও রয়েছে। কারন মোদী ছাড়া সেই স্ট্যান্ডার্ড এর নেতাই নেই।

বাংলার কোন লোকসভা আসনে কবে ভোট দেখে নিন

সেন্ট্রার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটিজের (সিএসডিএস) লোকনীতি গবেষণা কর্মসূচির বিগত নির্বাচনের তথ্য বিশ্লেষণ সে আভাসই দিচ্ছে। কিন্তু আগামী এপ্রিল- মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনেও মোদী বিজেপির কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নিয়ে ঐকমত্যের ঘাটতি বিরোধী দলগুলোকে পেছনে ফেলে দেবে সে আলোচনাও বর্তমানে চলছে। কিন্তু সমীক্ষা সব চুপ করিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সমস্ত তর্জন গর্জন সার, তৃণমূলের বাতিল সাংসদকে দলে নিয়ে মুখ রক্ষা মুকুলের

লোকনীতি-সিএসডিএস সমীক্ষায় উত্তরদাতাদের কাছে তাদের পছন্দের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর নাম জানতে চাওয়া হয়েছে। এ হিসেবে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় মোদীর জনপ্রিয়তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে দেখা গেছে। সমীক্ষা অনুসারে, ২০১৪ সালে ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা এবং ২০১৮ সালের মাঝামাঝি ৩৪ শতাংশ উত্তরদাতা মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগ্য মনে করেছে।

আরও পড়ুনঃ মুনমুন সেনকে দাঁড় করিয়ে আসানসোলে কি বাবুল সুপ্রিয়কে ওয়াকওভার দিলেন মমতা

উত্তরপ্রদেশে বিজেপির তুমুল বিজয়ের পর ২০১৭ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। তবে এরপর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তায় পতনও দেখা যায়। তা সত্ত্বেও ভারতের অন্যান্য রাজনীতিবিদের তুলনায় অনেক বেশি সমর্থন রয়েছে মোদীর। বলা যায়, প্রায় ২০১৪ সালের সমানই জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর।

২০১৮ সালের মে মাসে সর্বশেষ সমীক্ষার পর জনপ্রিয়তার রেটিং অসংখ্যবার পরিবর্তন হয়েছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে বিজেপি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সপ্তদশ লোকসভা ভোট ৭ দফায়, দেখে নিন কবে কোথায় কত আসনে ভোট

একই সঙ্গে কৃষক কল্যাণ ও বেকারত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে জোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। পরবর্তীতে কৃষকদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির মতো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে হারানো সমর্থন কিছুটা ফিরে পেয়েছেন মোদী।

কিন্তু গত সপ্তাহে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিমান হামলা নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে বলেই ধারণা করছে রাজনৈতিক মহল। অন্তত ভারতের নেতৃত্বের জায়গায় তার অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে এই বিমান হামলা।

আরও পড়ুনঃ লাস্যময়ী নুসরত ও সুন্দরী মিমিই এবার মমতার চমক

ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে এর আগেও প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে লড়াইয়ে রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তায় আকস্মিক পরিবর্তন দেখা গেছে। ১৯৯৯ সালের লোকসভা নির্বাচন কার্গিল যুদ্ধের পরপরই অনুষ্ঠিত হয়।

কার্গিল যুদ্ধের সুবাদে অটল বিহারি বাজপেয়ির জনপ্রিয়তায় উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়। ১৯৯৮-৯৯ সালের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা যায়। পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাত কার্গিলের মতো বড় না হলেও, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিমান হামলা অবশ্যই ভোটারদের মতামতে প্রভাব ফেলবে বলেই জানাচ্ছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃ প্রচুর চমক, রাজ্যের ৪২টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২জন প্রার্থী কে কে

গত কয়েক বছরে বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তাও ধারাবাহিক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত পাঁচ বছরে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, এমন উত্তরদাতাদের হার ১০ শতাংশ বেড়ে ২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এর অন্যতম কারণ নেতৃত্ব নিয়ে কংগ্রেস সমর্থকরা স্পষ্ট অবস্থানে রয়েছে। আবার সমীক্ষায় এ প্রশ্নের উত্তর দেননি, এমন অংশগ্রহণকারীদের হার ২০১৪ সালের ২৯ শতাংশ থেকে সর্বশেষ সমীক্ষায় ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পুলিশে ভরসা নেই, একমাস আগেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

এদিকে ২০১৪ সালের তুলনায় রাহুল গান্ধীর গ্রহণযোগ্যতা বাড়লেও কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার ক্ষেত্রে অনাগ্রহ দেখা গেছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি অভিন্ন প্রচার নিয়ে বৈঠক করলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল এড়াতে বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী নির্ধারণের আলোচনা এড়িয়ে চলছে।

আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটের আগে পাকিস্তানে ফের একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে

কোন রাজ্যেই এখনও মহাজোট পরিষ্কার নয়। অনেকেই মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ছে। বাংলাতেই তৃনমুল এর বিরুদ্ধে জোট করেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। দিল্লি বা উত্তরপ্রদেশ সহ বাকি রাজ্যগুলোতেও মহাজোট হয় নি।

প্রার্থী নিয়ে বিরোধী দলগুলোর এ অনিশ্চয়তা আসন্ন নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আর সেখানে মোদীর প্রচার পরিক্রমাতেই ভরসা বিজেপির। ফের সেই মোদী ঝড়ের অপেক্ষায় গেরুয়া শিবির।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন