রাজনৈতিক বন্দি হিসাবে, জেলে থেকেই নেট পরীক্ষা দেবেন দীপক কুমার

9956
রাজনৈতিক বন্দি হিসাবে প্রথম জেলে থেকেই নেট পরীক্ষা দেবেন দীপক কুমার/The News বাংলা
রাজনৈতিক বন্দি হিসাবে প্রথম জেলে থেকেই নেট পরীক্ষা দেবেন দীপক কুমার/The News বাংলা

আগামী মঙ্গলবার নেট পরীক্ষা। সংশোধনাগার থেকে গবেষণা ও অধ্যাপক বাছাইয়ের; সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা; নেট-এ বসতে চলেছেন মাওবাদী কার্যকলাপে অভিযুক্ত দীপক কুমার। বর্তমানে দমদম সংশোধনাগারের রাজনৈতিক বন্দি দীপক কুমার; ছত্রিশগড়ের দূর্গ জেলার বাসিন্দা।

দীপকের বিষয় সমাজতত্ত্ব। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারলে; তিনিই হবেন প্রথম জেলবন্দি নেট পরীক্ষার্থী। সল্টলেকের গীতবিতান পরীক্ষাকেন্দ্রে; সিট পড়েছে দীপকের। গতবার একই কেন্দ্রে সিট পড়েছিল; আর এক রাজনৈতিক বন্দি অর্ণব দামেরও। যদিও শেষপর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারেননি অর্ণব। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ তাঁকে দেরী করে কেন্দ্রে আনায়; পরীক্ষা দিতে পারেননি তিনি।

আরও পড়ুন ধর্ষকদের দুপায়ে গুলি করে আইপিএস অজয় পাল শর্মা দেশের হিরো

অর্ণব দাম অবশ্য সেট পাশ করেছিলেন। জামিনের পর গবেষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আশা করা যায়; অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এইবার ঠিক সময়েই কেন্দ্রে নিয়ে যাবে দীপক কুমারকে। মানবাধিকার কর্মীদের সংগঠন এপিডিআর-এর তরফ থেকে ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন তিন নাবালক সহ মোট ছয়জন মিলে লাগাতার গণধর্ষণ নাবালিকাকে

এর আগেও জেল থেকে নেটে বসার আবেদন জানিয়েছিলেন দীপক কুমার। তবে বসা হয়নি পরীক্ষায়। এবারও বহু সমস্যার পর পরীক্ষার ফর্ম ভরতে পেরেছেন দীপক। তাই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত নেট দিতে পারলে নতুন ইতিহাস তৈরি করবেন দীপক কুমার।

আরও পড়ুন বাম আমলে ইভিএম, রাম আমলে ব্যালটের দাবিতে সংসদে ধর্নায় তৃণমূল

২০১২ সালের মার্চ মাসে কলেজ স্ট্রীট থেকে গ্রেফতার হয় দীপক। মাওবাদীদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। তার গ্রেফতার হওয়ার পরই তার আইনজীবি স্ত্রী; রেখা পরগনিয়াকে ছত্তিশগড় পুলিশ; মাওবাদীদের সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করে।

রাম নামেও গণপিটুনির হাত থেকে রেহাই পেলনা মুসলিম যুবক

ভিলাই স্টীল প্ল্যান্টের প্রাক্তন কর্মী দীপক কুমার; চাকরী করার সময় কর্মকুশলতার জন্য রাষ্ট্রপতি পদক পেয়েছিল। অতীতে স্নাতক এবং এল এল বি পাশ করেছিলেন তিনি। জেলে থাকার সময়; সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর পাশ করেন দীপক। এখন হিন্দি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তের জন্য পড়াশুনা করছেন। গতবারও নেট পরীক্ষায় বসতে চেয়েছিলেন। আদালত অনুমতি দিলেও; ফর্ম জমা দেওয়ার সময় পেরিয়ে যায় বলে দেওয়া হয়নি পরীক্ষা।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন