আরও এক শবরীমালা, পুরুষদের ধর্মীয় দ্বীপে নারীদের প্রবেশ নিষেধ

378
শবরীমালার থেকেও নারী বিরোধী জাপানের এই ধর্মীয় দ্বীপ/The News বাংলা
শবরীমালার থেকেও নারী বিরোধী জাপানের এই ধর্মীয় দ্বীপ/The News বাংলা

আরও এক শবরীমালা, পুরুষদের ধর্মীয় দ্বীপে নারীদের প্রবেশ নিষেধ। শুধু ভারতে নয়, শবরীমালা মন্দিরের মত নারী বর্জিত দ্বীপও আছে এই পৃথিবীতে। যেখানে পুরোপুরি নিষিদ্ধ নারীদের প্রবেশ।

কেরালা রাজ্যের শবরীমালা মন্দিরে প্রথাগতভাবে ১০ থেকে ৫০ বছরের ঋতুমতি নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু অনেক বছরের আন্দলনের পরে চলতি বছর ২৮ সেপ্টেম্বরে ২০১৮ তে এর বিপক্ষে রায় দেয় ভারতের শীর্ষ আদালত। এরপর তীব্র আন্দোলন শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ ভারতের ৫টি খুঁজে না পাওয়া কোটি কোটি টাকার খাজানা

মহিলারা মন্দিরে প্রবেশ করতে চাইলে পুরুষ ও নারী ভক্তদের চরম বাধার সম্মুখিন হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২রা জানুয়ারি ২০১৯, নারীরা শবরীমালা মন্দিরে পুলিশি পাহাড়ায় মন্দিরটিতে প্রবেশ করেন। কিন্তু এখনও জাপানে এমন এক দ্বীপ আছে যেখানে ধর্মীয় কারণে নারীদের প্রবেশ নিষেধ। আসুন জেনে নি সেই দ্বীপ সম্পর্কে।

আরও পড়ুনঃ কেন মা কালীর পায়ের নিচে বাবা মহাদেব

ওকিনোশিমা দ্বীপটি জাপানে অবস্থিত। এটি দ্বীপটি দেশটির প্রাচীন ধর্মীয় ও পবিত্র স্থান। এই দ্বীপে নারীদের যাওয়া কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। জানা যায় ধর্মীয় কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা। এই দ্বীপটিকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে কেবল অপারেটররা

সপ্তদশ শতকে সমুদ্রে নাবিকদের সুরক্ষায় প্রার্থনার জন্য এ দ্বীপে নির্মাণ করা হয় ওকিতসু উপাসনালয়। তবে ওই দ্বীপে পা রাখার আগে পুরুষদের জামাকাপড় খুলে রাখতে হয়। এবং বিশেষ পদ্ধতিতে চান করে নিজেদের শুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন করে নিতে হয়।

আরও পড়ুনঃ প্রেমিকাকে নিজের করে পেতে কি কি করতে হয় পুরুষকে

দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার সময় সেখান থেকে তাদের কোনও স্মারক নিয়ে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয় না। এমন কী ওই দ্বীপে যাওয়ার পর কী ঘটেছে, সেটাও তারা অন্য কাউকে বলতে পারেন না।

আরও পড়ুনঃ জেনে নিন সিদ্ধপুরুষ ‘জয় বাবা লোকনাথ’ এর অজানা কাহিনী

তবে `জাপান টাইমস` পত্রিকা বলছে, উপাসনালয়টি নির্মাণের অনেক আগে থেকেই সমুদ্রগামী জাহাজের নিরাপত্তার জন্য ও কোরিয়া এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য সেখানে প্রার্থনা করার চল ছিল। বিদেশ থেকে আনা হাজার হাজার শিল্পসামগ্রী ওই দ্বীপ থেকে পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুনঃ জন্মতিথিতে ঠাকুর রামকৃষ্ণের জীবনের ৮টি অলৌকিক ঘটনা

কোরিয়া উপদ্বীপ থেকে আনা বহু সোনার আংটিও তার মধ্যে ছিল। প্রতি বছর মাত্র একটি দিন ২৭ মে, ওই দ্বীপে দর্শনার্থীরা আসতে পারেন। তবে দর্শনার্থীদের সব প্রাচীন রীতিনীতি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হয়।

আরও পড়ুনঃ অবশ্যই জেনে রাখুন বাচ্চার কাশি ও হাঁপানি নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ

দর্শনার্থীর মোট সংখ্যাও কিছুতেই ২০০ ছাড়াতে পারবে না। তবে সবচেয়ে বিতর্কিত যে বিষয়টি, তা হল তাদের সবাইকে পুরুষই হতে হবে! মহিলাদের প্রবেশ একদম নিষেধ। পুরুষদের এই ধর্মীয় দ্বীপে নারীদের প্রবেশ নিষেধ। অতএব দেখা যাচ্ছে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যতই এগিয়ে থাকুক না কেন জাপানের মানসিকতা আজও ভারতের অনেক পিছনে।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন