মমতার দাবি না মেনে জঙ্গলমহল থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী তুলছে নির্বাচন কমিশন

553
মমতার দাবি না মেনে জঙ্গলমহল থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী তুলছে নির্বাচন কমিশন/The News বাংলা
মমতার দাবি না মেনে জঙ্গলমহল থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী তুলছে নির্বাচন কমিশন/The News বাংলা

মানা হল না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি। মমতার দাবি না মেনে জঙ্গলমহল থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী তুলছে নির্বাচন কমিশন। জঙ্গলমহল থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী তুলেই প্রথম দফার ভোট। মোট ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সেনা দিয়েই প্রথম দফার ভোট করাবে কমিশন।

আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যে ৩০ শতাংশেরও কম স্পর্শকাতর বুথ

জঙ্গলমহলে থাকা ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যে প্রথম দফা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর সঙ্গে থাকছে রাজ্যে আসা প্রথম দফার ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর প্রথম দফা নির্বাচনে এই ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করানো হবে।

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশও থাকছে বুথে, বিরোধী শিবিরে জোর ধাক্কা

তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীও থাকবে প্রথম দফার নির্বাচনে প্রত্যেকটি বুথে। কোচবিহারে বুথের সংখ্যা ২০১০ টি। আলিপুরদুয়ারে বুথের সংখ্যা ১৮৩৪ টি। প্রথম দফা নির্বাচনে মোট বুথের সংখ্যা ৩৮৪৪ টি। এই মোট বুথ এর মধ্যে ৪০% বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ ১৫৩৮ টি বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে।

আরও পড়ুনঃ বিবেক দুবেকে তৃণমূলের এজেন্ট বলে কটাক্ষ মুকুল রায়ের

কোচবিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৮,১০,৬৫৮ জন, আলিপুরদুয়ারে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬,৪৩,৬১৬ জন। কুচবিহার ও আলিপুরদুয়ার এই দুই জায়গার মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের মোট ভোটার সংখ্যা ২৯ জন। এখন দেখার বিষয় এটাই যে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা জানিয়েছিলেন ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যেকটি বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী কিন্তু নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীও থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে প্রথম দফা নির্বাচনের প্রত্যেকটি বুথেই।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্থানে বিমানবাহিনীর হামলা, বাংলায় কাঁদল দিদি

আর এই জায়গা থেকেই কমিশনের বিপক্ষে ফের সরব হতে চলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তাদের যে অভিযোগ ছিল সেই অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াকে নতুন রাজনৈতিক টানাপোড়েনের গন্ধ পাচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

আরও পড়ুনঃ এক্সপায়ারি বাবুকে চ্যালেঞ্জ স্পিডব্রেকারের, বাংলায় মোদী মমতা তরজা তুঙ্গে

তাহলে কি তৃণমূল-বিজেপি কোন গোপন আঁতাত হয়েছে ভোটের আগেই। বাম ও কংগ্রেসের তরফে এই দাবি অনেক আগেই তোলা হয়েছে। বিজেপির তরফেও সব নেতাই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। এবার সেই দাবি আরও জোরাল হবে। অন্যদিকে জঙ্গল মহল থেকে বাহিনী সরিয়ে এবার মমতার তোপের মুখেও পড়তে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুনঃ শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য রাজ্য সরকারের সাহায্য চাইলেন কমিশনের পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন