চাপে পড়ে সৌজন্যের বার্তা নিয়ে মোদীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে মমতা

690
চাপে পড়ে মোদীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে সৌজন্যের বার্তা নিয়ে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী/The News বাংলা
চাপে পড়ে মোদীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে সৌজন্যের বার্তা নিয়ে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী/The News বাংলা

অবশেষে অহি নকুলের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে উদ্যোগী হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ শে মে; রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও নতুন মন্ত্রীসভার শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে সৌজন্যের বার্তা নিয়ে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী; মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে জারি হতে চলেছে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট

এক মাস ব্যাপী চলা ভোটযুদ্ধে ক্রমাগত কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে রনং দেহী মূর্তি ধারণ করতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে; ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পর থেকেই নানা ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের লোকসভা নির্বাচনে সেই বিরোধিতার সুর তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।

আরও পড়ুনঃ বিজেপির কাছে মমতাকে আরও লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছে বামেরাই

বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে; তাঁকে নানা বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনো প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন হরিদাস পাল; আবার কখনো প্রধানমন্ত্রীর কোমরে দড়ি পরিয়ে ঘোরানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন; নোটবন্দী থেকে জিএসটি ইত্যাদি ইস্যুতেও ক্রমাগত বিরোধিতা জারি রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ বড়সড় ভাঙন তৃণমূলে, মুকুল রায়ের একধাক্কায় বাংলার ৪ পুরসভা বিজেপির দখলে

এবারের ভোট চলাকালীন সময়েও প্রধানমন্ত্রীকে লাগাতার আক্রমন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনো বলেছেন; গনতন্ত্রের থাপ্পড় লাগাবেন মোদীর গালে; আবার কখনো কান ধরে প্রধানমন্ত্রীকে ওঠবোস করানোর নিদান দিয়েছেন। আবার পাথর ভর্তি মাটির মিষ্টি খাইয়ে মোদীর দাঁত ভাঙার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ পে কমিশনের বদলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য উৎসব বোনাস

কেন্দ্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় না রাখার জন্যও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী; আর এবার ভোটে তৃণমূলের নেতিবাচক ফলাফল হওয়ার পর সুর নরম করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার তিনি জানালেন; প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রন পত্র পেয়েছেন তিনি; তাই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে আলোচনা করে সাংবিধানিক সৌজন্যতা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও ধারণা; মুখ্যমন্ত্রী এবার প্রধানমন্ত্রী হবার আশা রেখেছিলেন। মহাজোট লোকসভা ভোটে ভালো ফল করলে; জোটের প্রধানমন্ত্রী হতেই পারতেন মমতা। কিন্তু ভোটের ফল; সেই আশায় আপাতত জল ঢেলে দিয়েছে। তবে এটাকে সৌজন্যের রাজনীতিই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন